টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর মানসিকভাবে যথেষ্ট চাপে ছিল ভারত। ওয়ানডে সিরিজ তাদের জন্য ফিরে আসার মঞ্চ। আর সেই শুরুটা হলো জয় দিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে কোহলির সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৭ রানে জিতেছে ভারত।
এদিন টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। ব্যাট হাতে বড় সংগ্রহ দাড় করায় স্বাগতিকরা। মূলত বিরাট কোহলির ১৩৫ রানের ইনিংসের ওপর ভর করেই ম্যাচ জেতে ভারত। ১১ চার আর ৭ ছক্কায় ১২০ বলে ১৩৫ রান করে বিরাট। তাঁর সঙ্গে লোকেশ রাহুলের ৬০ এবং রোহিত শর্মার ৫৭ রানের অবদানে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৪৯। শেষ দিকে এসে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জাদেজা যোগ করেন আরও ৩২ রান। অন্যদিলে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ইয়ানসেন, নান্দ্রে বারগার, বশ ও বার্টম্যান নেন দুটি করে উইকেট।
এদিকে ৩৫০ রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন আপে শুরুতেই ধস নামে। ১১ রানের মধ্যেই রিকেলটন, ডি কক আর অধিনায়ক মার্করামকে হারায় তারা। এরপরও ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায়নি। ম্যাথু ব্রিজকে, টনি ডি জর্জি, ব্রেভিস, ইয়ানসেন সবার অবদানেই ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালায় দলটি। এদিকে টি-টোয়েন্টি স্টাইলে ব্যাট করে কাউন্টার এট্যাক করেন মার্কো ইয়ানসেন। তার ৩৯ বলে ৭০ রানের ওপর ভর করে দ্রুত গতিতে এগুতে থাকে আফ্রিকা।
ইয়ানসেন আউট হওয়ার পর আবারও হোঁচট খায় প্রোটিয়ারা। শেষ পর্যন্ত আসল লড়াইটা জমে ওঠে করবিন বশকে ঘিরে। তার ৫১ বলে ৬৭ রান আফ্রিকাকে নতুন করে ম্যাচে ফেরায়। কিন্তু শেষ ওভারে প্রসিধ কৃষ্ণার দ্বিতীয় বলে রোহিতের হাতে ধরা পড়েন তিনি। আর দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের আশাও সেখানেই শেষ হয়ে যায়। লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত তারা থামে ৩৩২ রানে। দলের হয়ে ব্রিজকে সর্বোচ্চ ৭২, ইয়ানসেন ৭০ এবং বশ ৬৭ রান করেন।
অন্যদিকে বোলিংয়ে ভারতের সেরা ছিলেন কুলদীপ যাদব। তিনি একাই ৬৮ রানের খরচে নেন ৪ উইকেট। হার্শিত রানা নেন ৩ উইকেট। এছাড়া আর্শদ্বিপ সিং ২ টি এবং প্রসিদ কৃষ্ণা নেন ১ টি উইকেট।
এই জয়ে সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত। টেস্ট সিরিজের ব্যর্থতা কাটিয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে ভারতের জন্য দারুণ প্রত্যাবর্তনই বলা যায়।
ক্রিফোস্পোর্টস/১ডিসেম্বর২৫/টিএ