পুরুষ দলের পর এবার নারী দলের সিরিজও স্থগিত করল ভারত। আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ভারতে যাওয়ার কথা ছিল টাইগ্রেসদের।
আজ (মঙ্গলবার) ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একজন মুখপাত্র। ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) এক চিঠিতে বিসিবিকে জানিয়েছে, সাদা বলের সিরিজটি পিছিয়ে পরবর্তী সময়ে আয়োজন করা হবে।
সিরিজ পেছালেও এর জন্য চিঠিতে কোনো নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি বিসিসিআই। ইএসপিএনেট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিজ স্থগিত করার অন্যতম কারণ হতে পারে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলমান বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা।
সম্প্রতি বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশ সিরিজের জন্য এখনও সরকারের অনুমোদন মেলেনি। তখম থেকেই স্থগিত কিংবা পেছানোর শঙ্কা তৈরি হয়। তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজটি ছিল আইসিসি ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামের অংশ।
এর আগে গত আগস্টে বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আসার কথা ছিল ভারতীয় পুরুষ দলের। তবে নিরাপত্তাজনিত শঙ্কার কথা উল্লেখ করে বিসিবির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিরিজটি ১৩ মাস পিছিয়ে দেয় ভারত। নারী দলের সিরিজের ক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কিনা, সেটা এখনও নিশ্চিত নয়।
বছরে খুব একটা ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় না টাইগ্রেসরা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর বিশ্বকাপ বাছাই এবং বিশ্বকাপ ছাড়া কোনো ম্যাচ খেলেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
নারী ক্রিকেটারদের সাথে অশালীন আচরণকে ঘিরে উত্তপ্ত দেশের নারী ক্রিকেটাঙ্গন। এর মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও জাতীয় দলের সাবেক পেসার জাহানারা আলম। এর মাঝে ভারত সফর স্থগিত বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে দেশের নারী ক্রিকেট দলের উপর।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৮নভেম্বর২৫/এআই