ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় রুপ নিয়েছে। বড়দের পর এবার ছোটদের মঞ্চেও একই ঘটনা দেখা যাচ্ছে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচেও দুদলের কোনো অধিনায়কই হাত মেলাননি। এমনকি সৌজন্যতাস্বরুপ চোখাচোখিও হয়নি দুজনের মধ্যে। এ যেন ভারত-পাকিস্তানের পুরনো দ্বন্দ্বকে আবার নতুন করে সামনে নিয়ে আসলো।
রোববার আইসিসি অ্যাকাডেমি গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচের টসের সময়ই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। ভারত অধিনায়ক আয়ুশ মাত্রে এবং পাকিস্তান অধিনায়ক ফারহান ইউসুফ দুজনেই ‘নো হ্যান্ডশেক’ অবস্থানেই অনড় থাকেন। টস জিতে পাকিস্তান ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। তবে পুরো সময়টায় দুই অধিনায়কের মধ্যে চোখাচোখিও হয়নি। টস শেষে সঞ্চালকের কাছে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দুজনই আলাদা আলাদাভাবে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান।
ভারত-পাকিস্তানের এই আচরণ নতুন কিছু নয়। চলতি বছরের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনার পর সিনিয়র এশিয়া কাপে একই পরিস্থিতি দেখা গেছে। সেই টুর্নামেন্টে ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব পাকিস্তানের সালমান আগার সঙ্গে একাধিকবার দেখা হলেও হাত মেলাননি। এমনকি ফাইনালে পাকিস্তানকে হারানোর পর পুরস্কার বিতরণীতেও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। পিসিবি ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান মহসিন নাকভীর কাছ থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানায় ভারত। ওই ট্রফি বিতরণ জটিলতা এখনও পুরোপুরি সমাধান হয়নি বলে জানা গেছে।
সেই ধারাবাহিকতা দেখা গেছে নারী ক্রিকেটেও। নারী বিশ্বকাপে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর পাকিস্তান অধিনায়ক ফাতিমা সানার সঙ্গে হাত মেলাননি। মাঠের বাইরের দুই দেশের সম্পর্ক যে মাঠের ভেতরেও প্রভাব ফেলছে, তা এখন বারবারই স্পষ্ট হচ্ছে।
এদিকে যুব এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারত সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২৩৪ রানে হারিয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান মালয়েশিয়াকে ২৯৭ রানে উড়িয়ে দিয়ে আসর শুরু করে। আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে তারা। আজ যে দল জয়ী হবে তাদের সেমিফাইনালের পথ অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪ডিসেম্বর২৫/টিএ
