
উড়ন্ত জয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ শুরু। আজ ডাচদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত হবে টাইগারদের। সিলেট আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ছ’টায় শুরু হবে ম্যাচটি। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি ৮ উইকেটে হেরে যাওয়া ডাচরা দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে ফেরার আশা করছে।
সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের আগে ডাচদের বিপক্ষে টাইগারদের প্রস্তুতিমূলক সিরিজ। এই সিরিজে প্রতিটি ম্যাচ তো বটেই, ব্যাটিং, বোলিং ফিল্ডিংয়ের অবস্থা যাচাইও বেশ গুরুত্বপুর্ণ বাংলাদেশের জন্য। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম পরীক্ষায় ভালভাবেই পাশ করেছেন ফিল সিমন্সের শিষ্যরা।
স্পিডস্টার তাসকিন আহমদের দারুন বোলিংয়ের পর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে লিটন দাসের ক্যাপ্টেন নক ইনিংস। অলরাউন্ড নৈপুণ্য দীর্ঘদিন পর দলে ফেরেন সাইফ হাসান। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অনায়াসেই জয় পায় স্বাগতিকরা।
প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্সের ধারা দ্বিতীয় ম্যাচেও বজায় রাখার সঙ্গে আরো উন্নতির চ্যালেঞ্জ থাকছে লিটনদের। এই ম্যাচটা জিতলেই নিশ্চিত হবে সিরিজও। ঐচ্ছিক অনুশীলনেও ব্যাটিং বোলিংয়ে কঠোর পরিশ্রম টাইগার ক্রিকেটারদের।
এশিয়া কাপ স্কোয়াডের চমক অলরাউন্ডার সাইফ হাসান। প্রায় দু’বছর পর আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট খেলতে নেমে ডাচদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নৈপুন্যের ঝলক দেখিয়েছেন তিনি। তবে সাইফকে নিয়ে এখনই প্রত্যাশা বাড়াতে চাননা সহকারী কোচ সালাউদ্দিন।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের বোলিং তোপে ব্যাটিং পরিকল্পনা ভেস্তে যায় সফরকারীদের। পরের ম্যাচ নিয়ে তাই বেশ সতর্ক ডাচরা। সিরিজে ফিরতে এই ম্যাচে জয়ের জন্য মরিয়া নেদারল্যান্ডসও।
হোম সিরিজে ফেভারিট বাংলাদেশ। তবে ফেভারিট হয়েও ব্যর্থতার অতীত ইতিহাস আছে তাদের। বড় দলগুলোকে হারানোর অভিজ্ঞতাও আছে নেদারল্যান্ডসের। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তাই কিছুটা বাড়তি চাপে স্বাগতিকরা।
যেহেতু এশিয়া কাপের প্রস্তুতি হিসেবে এই সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ, তাই স্কোয়াডের সবাইকেই পরখ করে নিতে চাইবে কোচিং স্টাফ। কিন্তু সিরিজ জয়ের তাড়না থাকলে আগের একাদশই দেখা যেতে পারে।
তবে সবার সক্ষমতার যাচাই করতে হলে অদল-বদলের দরকার আছে। স্কোয়াডে মোট ৪জন উইকেটকিপার ব্যাটার আছে। এর মধ্যে লিটন অধিনায়ক। বাকি তিনজন- সোহান, জাকের ও ইমন। লিটন-ইমন-জাকেরের জায়গা পাকাপোক্ত। আজ সোহানকে পরখ করতেই পারে ম্যানেজম্যান্ট।
আগের ম্যাচের তিন পেসার তাসকিন, শরিফুল ও মুস্তাফিজের মধ্যে দুজনকে বিশ্রামে দিয়ে তানজিম সাকিব ও সাইফউদ্দিনকে ঝালিয়ে নেয়া যেতে পারে। তাওহীদ হৃদয়ের জায়গায় শামীম হোসেনকে খেলানো যেতে পারে। এতে করে সবার শক্তিমত্তা সামনে আসবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১সেপ্টেম্বর২৫/এজে
