আসন্ন দ্বাদশ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে ১১টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে না পারায় বাদ পড়েছে। বাকি আটটি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকেও সবাই ফ্র্যাঞ্চাইজি পাচ্ছে না।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সূত্রে জানা গেছে, আগ্রহী মালিকদের বৃত্তান্ত যাচাইয়ের জন্য আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে জানানো হয়, দু-একজন মালিকের নাম ‘রেড ফ্ল্যাগড’ বা সন্দেহভাজন তালিকায় রয়েছে।
এর পাশাপাশি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আর্থিক ও প্রশাসনিক শর্তও ঠিকভাবে পূরণ করতে পারেনি। ফলে গভর্নিং কাউন্সিল মনে করছে, আটটির মধ্যে চারটির বেশি প্রতিষ্ঠানকে ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া সম্ভব হবে না।
যদি এমন হয়, তাহলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিজেরা একটি দল পরিচালনা করে মোট পাঁচটি দল নিয়ে এবারের বিপিএল আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আগামীকাল।
এদিকে, আগের বিপিএলে যেসব খেলোয়াড়কে দুর্নীতির সন্দেহে নজরে রাখা হয়েছিল, তাদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না করলেও এবারের ড্রাফটে সেই খেলোয়াড়দের দলভুক্ত না করার বিষয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের অনানুষ্ঠানিকভাবে জানাবে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
গভর্নিং কাউন্সিলের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা চাই না বিতর্কিত কেউ এবারের বিপিএলে যুক্ত হোক। সব পক্ষের নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ।”
উল্লেখ্য, বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি পেতে মোট ১১টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল। এরমধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিল বিসিবি। সেই বৈঠকে ডাকা হয়নি চিটাগং কিংস ও রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে আবেদন করা দেশ ট্রাভেলসকে। তখনই ধারণা করা হচ্ছিল, এই প্রতিষ্ঠানকে ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হবে না। সেই দুই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এবার চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে আরও দুটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে আছে নোয়াখালীর নামে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে আগ্রহ দেখানো বাংলা মার্ক। তাদেরকে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এবার বিপিএলে দল পাচ্ছে না খুলনা টাইগার্সের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মাইন্ড ট্রিও। তবে কী কারণে তারা বাদ পড়েছে তা জানা যায়নি।
তবে এ প্রসঙ্গে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু বলেছেন, ‘১১টা থেকে ৮টা করা হয়েছে। ব্যাপারটা হচ্ছে ইওআইতে অনেক ডকুমেন্ট চাওয়া হয়েছিল। এই তিনটা কোম্পানির ডকুমেন্টের ঘাটতি ছিল বলে তারা কোয়ালিফাই করতে পারেনি। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই এবং মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শেষে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের আইন বিভাগ, লিগ্যাল কনসালেটেন্সি ফার্ম এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফার্ম ১১টি ইওআই অংশগ্রহণকারীর নথি পর্যালোচনা করেছে।’ সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আগামীকাল (৪ তারিখ) দলগুলোর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। সব ঠিক থাকলে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে দ্বাদশ বিপিএল। তবে এখনো ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্ধারণ না হওয়ায় আয়োজকদের প্রস্তুতিতে কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩নভেম্বর২৫/টিএ