মুশফিকুর রহিম আজ তাঁর ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট খেলতে মাঠে নামছেন। এই উপলক্ষে তাঁকে ঘিরে উঠে এসেছে পুরোনো স্মৃতি, অভিজ্ঞতা আর ব্যক্তিগত অনুভূতি। যারা শুরু থেকে তাঁর পথচলার সাক্ষী, তারা জানিয়েছেন মুশফিককে নিয়ে তাঁদের বিশেষ অভিব্যক্তি। অভিবাদন জানিয়েছেন আইসিসি থেকেও।
আইসিসি থেকে এক পোস্টে বলা হয় বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছেন মুশফিকুর রহিম। দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিনি ১০০তম টেস্টে মাঠে নামছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটি বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবে দেখছে আইসিসি।
এদিকে প্রথম দলে তোলার স্মৃতি টেনে সাবেক সভাপতি ও বর্তমান ক্রিকেট বোর্ডের সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ বললেন, খুব অল্প বয়সে থেকেই মুশফিকের ভেতরের শৃঙ্খলা চোখে পড়েছিল। তাঁর মতে, পনেরো বছর বয়সে এশিয়া কাপে নিয়ে যাওয়া থেকে লর্ডসে অভিষেক সব জায়গায় মুশফিক নিজের মতো করে জায়গা বানিয়েছে। তার পরিশ্রম, চেষ্টা, শৃঙ্খলা এসবই তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। তাই ওই নির্বাচক কমিটির প্রধান হিসেবে এই মাইলফলক তাঁকে গর্বিত করে।
হাবিবুল বাশার মনে করেন, ক্রিকেটের প্রতি প্রয়োজনীয় ভালোবাসা আর দায়বদ্ধতা মুশফিকের ভেতর অন্য অনেকের চেয়ে গভীর। তাঁর মতে, ক্রিকেটই মুশফিকের কাছে সবকিছু, আর সেই মানসিকতার কারণেই এত দীর্ঘ পথ পেরোনো সম্ভব হয়েছে।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্টের মাইলফলকে পা রাখতে যাচ্ছেন। দেশের ক্রিকেট বাস্তবতায় এটি বড় অর্জন। দুই দশকের বেশি সময় ধরে লম্বা ফরম্যাটে তার প্রতিশ্রুতি, পেশাদারিত্ব ও ধারাবাহিকতা তাকে আলাদা জায়গায় দাঁড় করিয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটে তরুণদের জন্য তিনি ইতোমধ্যে অনুপ্রেরণার নাম। সামনে আরও সময় তিনি দলকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন এমনটাই আশা করেন মাশরাফি।
তামিম ইকবাল বললেন, দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে পৌঁছানো এই সম্মানের জন্য মুশফিকের চেয়ে উপযুক্ত আর কাউকে মনে হয় না। দীর্ঘ সময় সতীর্থ হিসেবে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানান, এমন ধারাবাহিকতা খুব কম খেলোয়াড়ই ধরে রাখতে পারে।
মাহমুদউল্লাহ এটাকে দেখছেন ব্যক্তিগত গর্বের জায়গা থেকে। তিনি বলেন, মুশফিকের অর্জন শুধু দলের না, পরিবার থেকেও এটা একটা বড় সম্মান। কাছের মানুষ হিসেবে তিনি এই সাফল্যকে আলাদা আনন্দ হিসেবে দেখেন।
নাজমুল হোসেন শান্ত বলে, ছোটবেলা থেকেই মুশফিককে দেখে শিখছি, তাঁর পরিশ্রম আর নিবেদন তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য দৃষ্টান্ত। শান্ত বিশ্বাস করেন, ক্রিকেটের মাঠে মুশফিককে আরও অনেক দিন পাওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি।
বর্তমান টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন কুমার দাস মনে করেন, আমরা একসাথে দীর্ঘদিন দলের ব্যাটিংয়ে পার্টনারশিপ গড়েছি, আমার ব্যাটিং, উইকেটকিপিং সকল ক্ষেত্রেই আপনি অসাধারণভাবে সাহায্য করেছেন। আমরা আপনার এই পথচলাকে অনুসরণ করার চেষ্টা করবো।
শততম টেস্টকে কেন্দ্র করে সতীর্থদের এই অভিব্যক্তিগুলো এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে মুশফিকের দীর্ঘ পথচলার প্রতি সম্মান আর তার পরিশ্রমী মানসিকতার স্বীকৃতি।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৯নভেম্বর২৫/টিএ