
মিরপুরের উইকেট সবসময়ই সমালোচনার বিষয় হয়ে থাকে। তবে এবার সেই আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেন। টিভিতে প্রথমবার মিরপুরের কালো উইকেট দেখে তিনি ভেবেছিলেন, “টিভিতেই যেন সমস্যা আছে।” পিচের রঙ একদম কালো দেখায় মনে হয়েছিল কিছু গোলমাল হয়েছে। পরে মাঠে নামার পর বুঝতে পারলেন, পিচটাই প্রকৃতপক্ষে এমন কালো।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আকিল হোসেন দলে জরুরি ভিত্তিতে ডাক পান। দীর্ঘ বিমান ভ্রমণ শেষে ভোর চারটায় ঢাকায় পৌঁছান। ক্লান্ত শরীর নিয়েও মাঠে নামেন এবং দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন। তিনি প্রায় আড়াই বছর পর ওয়ানডেতে খেলেছেন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বললেন, “রাত চারটায় হোটেলে পৌঁছেছি। এটা আমার কাজেরই অংশ। একবার দায়িত্ব পেলেই অজুহাত চলে যায়। শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়ে আনতে পেরেছি, এটাই বড় স্বস্তি।”
মিরপুরের কালো উইকেট স্পিনারদের জন্য চ্যালেঞ্জের। আকিল হোসেন বলেন, “পিচ স্লো, বাউন্স নিচু, স্পিনের জন্য ভালো। খেলাটা উপভোগ করেছি এবং নিজের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”
ওয়ানডেতে দীর্ঘ বিরতির পরও আকিলের এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স প্রমাণ করে যে, বয়স বা সময়ের ব্যবধান তার খেলায় পারফরম্যান্স এর কোনো ঘাটতি হয়নি। তিনি টিভিতে প্রথম দেখার সময় যে ভুল ধারণা করেছিলেন, তারও কথা তুলে করেছেন। তিনি বলেন, “টিভিতে মনে হয়েছিল কিছু গোলমাল হয়েছে। পরে মাঠে নামার পর বুঝলাম, পিচটাই এমন কালো।”
আকিল স্পষ্ট করেছেন, দলে থাকা বা না থাকার সিদ্ধান্ত তার হাতে নেই। “নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব তারা। আমি শুধু মাঠে খেলি, যতটা পারি ভালো খাই। বাকি সিদ্ধান্ত তাঁদের,” বলেছেন তিনি।
মিরপুরের কঠিন উইকেট, দীর্ঘ ভ্রমণ ও ক্লান্তি সত্ত্বেও আকিল হোসেন দেখালেন, প্রফেশনাল ক্রিকেটার হিসেবে দায়িত্ব কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তার পারফরম্যান্সের কারণেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা জয়লাভ করতে পেরেছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২২অক্টোবর২৫/টিএ
