
ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের কাছে হারের মাধ্যমে এবারের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ শেষ করেছেন সাকিব আল হাসান। ১০ ইনিংসে ব্যাট হাতে ২০ গড়ে করেছেন ১৮০ রান এবং বল হাতে ৮.৩০ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ৬ উইকেট।
দুই মৌসুম বিরতির পর অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসের হয়ে এবারের সিপিএলে ফিরেছিলেন সাকিব। এর আগে তিনি খেলেছেন বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস, জ্যামাইকা তালাওয়াস ও গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের হয়ে। প্রথমবার অ্যান্টিগার হয়ে সিপিএলে খেললেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
এবারের আসরে সাকিবকে দিয়ে খেলানো হয়েছে সবগুলো ম্যাচ। পুরো টুর্নামেন্টে ২৩ ওভার বল করে ৮.৩০ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ব্যাট হাতে একটি ফিফটি সহ ১০ ইনিংসে করেছেন ১৮০ রান।
তাকে ব্যাটিং অর্ডারের চতুর্থ, পঞ্চম বা ষষ্ঠ স্থানে নামানো হলেও আশানুরূপ রান করতে পারেননি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী রান করার সুযোগ থাকলেও ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব।
এবারের সিপিএলে সর্বোচ্চ রান করেছেন সাই হোপ। গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের এই ব্যাটার করেছেন মোট ৪৪৭ রান—যা টুর্নামেন্টে একমাত্র ৪০০ ছাড়ানো ইনিংস। ৩০০ বা তার বেশি রান করেছেন আরও সাতজন ব্যাটার। সে হিসেবে ব্যাট হাতে সফল হতে পারেননি সাকিব। তবে এবারের আসরে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩৮.৪৬, যেখানে আগে ছিল ১১৬.৫১।
সিপিএল ছাড়াও সাকিব এবার খেলেছেন পাকিস্তান সুপার লিগ, গ্লোবাল সুপার লিগ ও ম্যাক্স সিক্সটিতে। তবে সবগুলো লিগেই তার পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। পিএসএলে তিন ম্যাচের মধ্যে দুই ম্যাচেই শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
সিপিএলেও খুব একটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারেননি। কয়েকটি ম্যাচে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ব্যাট হাতে ২০ বা তার বেশি রান এসেছে মাত্র তিন ম্যাচে। তবে মজার ব্যাপার হলো— এবারের সিপিএলেই তিনি তার ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ রান করেছেন।
বল হাতেও সাকিব হতাশ করেছেন। ৬ উইকেট নেওয়া এই অলরাউন্ডারকে ব্যবহার করা হয়েছে পার্ট-টাইম বোলার হিসেবে। অন্যদিকে আসরের সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন ইমরান তাহির (১৮)।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৮সেপ্টেম্বর২৫/এনজি
