ম্যানচেস্টার সিটি আর ফুলহ্যামের ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত দাঁড়াল নয় গোলের লড়াইয়ে। প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়ে, দ্বিতীয়ার্ধে হঠাৎ ছন্দ হারিয়ে আবারও শেষ দিকে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সিটি মাঠ ছাড়ল ৫–৪ গোলে জয় নিয়ে। ম্যাচের শুরুতেই আর্লিং হলান্ড প্রিমিয়ার লিগে নিজের শততম গোলের মাইলফলক ছুঁয়ে নেন, পাশাপাশি দলের জয় নিশ্চিতেও করেন গুরুত্বপূর্ণ গোল।
ম্যাচের ১৭ তম মিনিটে জেরেমি ডোকুর পাস থেকে গোল করে লিগে ১১১ ম্যাচে ১০০ গোল পূর্ণ করেন নরওয়েজিয়ান এই স্ট্রাইকার। আগের রেকর্ডটি ছিল অ্যালান শিয়েরারের। লিগে টানা দুই ম্যাচ গোলহীন থাকা হলান্ড এবার শুরুতেই গোল খরা কাটান। কয়েক মিনিট পরই তার থ্রু পাস থেকে ব্যবধান বাড়ান টিয়ানি রেইনডার্স।
এরপর আসে ফিল ফোডেনের জোড়া গোল। বিরতির আগে ডি–বক্সের বাইরে থেকে তার শট সিটিকে আরও এগিয়ে দেয়। যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে এমিলি স্মিথের হেডে ব্যবধান কমিয়ে বিরতিতে যায় ফুলহ্যাম।
বিরতির পরও শুরুটা সিটিরই। ব্যাকহিল পাসে ফোডেনকে দিয়ে তার দ্বিতীয় গোলটি তৈরি করেন হলান্ড। সেখান থেকে ৪–১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সিটি। কিন্তু এরপরই ম্যাচের গতি বদলে যায়। ডোকুর শটে স্যান্ডা বার্গারের গায়ে লেগে আত্মঘাতী গোল হয়, আর তার পর পরই আলেক্স আইওবি দুর্দান্ত শটে গোল করে ম্যাচে ফেরান ফুলহ্যামকে।
৭২তম মিনিটে স্যামুয়েলের শটে ব্যবধান আরও কমে। সম্ভাব্য অফসাইড চেক করতে ভিএআরের মাধ্যমে দীর্ঘ বিশ্লেষণের পর সেটি বৈধ ঘোষণা হয়। খেলা আবার শুরু হতেই কর্নার থেকে গোলরক্ষক দোন্নারুম্মার ক্লিয়ার করতে না পারা বল গোল পোস্টে পাঠান স্যামুয়েল, স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৫–৪।
শেষ ২০ মিনিট আক্রমণে চাপে রাখে ফুলহ্যাম। কয়েকটি ভালো সুযোগও তৈরি হয়, কিন্তু গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারদের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে শেষ পর্যন্ত চাপ সামলে নেয় পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
এর মধ্য দিয়ে ১৪ ম্যাচে ৯ জয় ও ১ ড্রয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে গেল সিটি। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৩০, তারা একটি ম্যাচ কম খেলেছে। চেলসি ২৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিনে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩ডিসেম্বর২৫/টিএ