
বড় দলের বিপক্ষে একাধিক গোলে পিছিয়ে থেকেও ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিহাস বাংলাদেশ ফুটবলে বিরল। তবে সেই কাজটাই যেন গতকাল প্রায় করে ফেলেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ৩-১ গোলে পিছিয়ে থাকা ম্যাচে সমতা এনেছিল হামজা-সামিতরা। অবশ্য শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে ফের পরাজয় বরণ করতে হয় তাদের।
তবে বাংলাদেশ যে পিছিয়ে থাকা ম্যাচেও শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেই বিশ্বাসটাই এখন থেকে তৈরি হওয়ার কথা জানিয়েছেন দলের অন্যতম তারকা ফুটবলার সামিত সোম। এদিন ম্যাচের যোগ করার সময়ে কর্নার থেকে পাওয়া বল হেডে জালে জড়ান তিনি। আর এতেই সমতায় ফিরে উচ্ছ্বাসে মেতেছিল গোটা দেশ।
দেশের হয়ে প্রথম গোল করতে পারার অনুভূতি প্রকাশ করে ম্যাচ শেষে সামিত বলেন, ‘হতাশ কিনা জানি না, তবে গোলটা করতে পেরে খুব এক্সাইটেড ছিলাম। বাংলাদেশের হয়ে গোল করতে পারা অনেক সম্মানের। আমি খুশি হতাম যদি আমার গোল না হতো, কিন্তু আমরা জিততাম। তবে দেশের জন্য গোল করতে পেরে গর্বিত। এই অনুভূতি আমি জীবনে কোনোদিন ভুলব না।’
এই ম্যাচের ইতিবাচক দিক হিসেবে তিনি দেখছেন, এখন থেকে সবাই বিশ্বাস করবে বাংলাদেশ যেকোনো পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, ‘পজিটিভ দিক হলো আগে কখনো চিন্তা করা যেত না ১-৩ পিছিয়ে থেকেও আমরা ফিরে আসব। আমাদের দলে অনেক ক্যারেক্টার আছে, অনেক প্যাশন আছে। আমরা হতাশ হব না। এটা একটা ফাউন্ডেশন—এখান থেকে আমরা শিখব।’
ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে রক্ষণভাগকে শৃঙ্খল হওয়ার কথা বললেন সামিত, ‘সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও একইভাবে গোল খেয়েছিলাম। এসব থেকে শিক্ষা নিতে হবে। ইজি গোল হজম করলে ম্যাচ জেতা যায় না। আমাদের আরও শৃঙ্খল হতে হবে, বিশেষ করে ব্যাকলাইনে। সবার দায়িত্ব আছে। এটা ফুটবল—আপস অ্যান্ড ডাউনস থাকবেই। গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা শিখে এগোব।’
ম্যাচ হারের কারণে নিজেদের হতাশার কথা প্রকাশ করলেও পরবর্তী ম্যাচে ভালো কিছু করার আত্মবিশ্বাস দেখালেন তিনি, ‘আমরা সবাই হতাশ, কারণ ফ্যানদের জেতার আনন্দ দিতে পারিনি। এবার পারিনি, তবে সামনেরবার আমরা জিতব ইনশাআল্লাহ।’ উল্লেখ্য আগামী ১৪ অক্টোবর এই হংকংয়ের বিপক্ষেই তাদের মাটিতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
ক্রিফোস্পোর্টস/১০অক্টোবর২৫/এফএএস
