
গেল কিছুদিন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল নিয়ে দেখা দিয়েছিল দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠা। নেপালে চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলন ও সহিংসতার কারণে কাঠমান্ডুতে আটকা পড়ে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শেষ পর্যন্ত গতকাল তারা দেশে ফিরলেও খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থা বিবেচনায় বিশেষ উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
নেপালের বিপক্ষে খেলতে যাওয়া দুই প্রীতি ম্যাচের প্রথমটিতে গোলশূন্য ড্র করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে আর মাঠে নামার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ। দেশটিতে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন ও সহিংসতার জেরে স্থগিত হয় পরবর্তী ম্যাচ। নিরাপত্তা জনিত কারণে হোটেল বন্দী হয়ে পড়েন ফুটবলাররা।
নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশী ফুটবলার ও দলের কোচিং স্টাফদের ফিরিয়ে আনতে প্রচেষ্টা চালায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাস। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশে আনা হয় জাতীয় দলের সকল সদস্য এবং ম্যাচ কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের।
নেপাল থেকে বিশেষ বিমানে কুর্মিটোলায় বীর উত্তম একে খন্দকার বাহিনী ঘাঁটিতে অবতরণ করেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আওয়ালও। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে খেলোয়াড়দের সব রকমের সহায়তা করার কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসার প্রক্রিয়া রয়েছে। সেখানে অবশ্যই যাদের প্রয়োজন মানসিক কোচিং ও সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট দেব। যাদের লাগবে না তাদেরও আমরা অ্যাসেসমেন্ট করব, কারণ অনেক সময় এ রকম পরিস্থিতিতে ফিজিক্যাল শকড হয়। আমরা এই বিষয়ে সচেতন রয়েছি। এছাড়া বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সের মেডিক্যাল টিমও তাৎক্ষণিক চিকিৎসাজনিত কিছু প্রয়োজন হলে প্রস্তুত ছিল।’
উল্লেখ্য, এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে আগামী ৯ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ফুটবল দল। সেই ম্যাচের প্রস্তুতি নিতেই নেপালের মাটিতে পাড়ি জমিয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে শেষ পর্যন্ত আশানুরূপ প্রস্তুতি ছাড়াই দেশে ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১২সেপ্টেম্বর২৫/এফএএস
