Connect with us
ফুটবল

র‌্যাঙ্কিংয়ে সর্বোচ্চ উন্নতি করা বাংলাদেশকে নিয়ে ফিফার পোস্ট

বাংলাদেশ নারী দলকে নিয়ে পোস্ট করেছে ফিফা। ছবি- সংগৃহীত

ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই ঐতিহাসিক সাফল্যের পর এবার ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও বড় উন্নতি করেছে বাঘিনীরা। লম্বা লাফ দিয়ে ১০৪ নম্বরে উঠে এসেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে আজ (বৃহস্পতিবার) নারী ফুটবলে র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যেখানে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।

২৪ ধাপ এগিয়ে ১০৪ নম্বরে উঠে আসা বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ৮০.৫১ পয়েন্ট অর্জন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। আগে বাংলাদেশের পয়েন্ট ছিল ১০৯৯.৮৭। এর সঙ্গে ৮০.৫১ পয়েন্ট যুক্ত হওয়ায় বর্তমান পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ১১৭৯.৮৭।



বাংলাদেশের এমন অগ্রগতিতে মুগ্ধ ফিফাও। বিগত কয়েকবছরের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পর বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে স্বাগত জানিয়েছে সংস্থাটি। আজ নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে ৬টি ফটোকার্ড শেয়ার করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে তুলে ধরেছে ফিফা।

বিশ্বব্যাপী পাবলিক করা এই পোস্টের ক্যাপশনে ফিফা লিখেছে, ‘১০০-এর কাছাকাছি বাংলাদেশ (র‌্যাঙ্কিংয়ে)। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল এএফসি নারী এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করার পর ফিফা/কোকা-কোলা নারী র‍্যাংকিংয়ে বড় উন্নতি করেছে। সামনে ফিফা নারী বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের সম্ভাবনাও রয়েছে দলটির।’

প্রথম ফটোকার্ডে লেখা ছিল, ফিফা নারী র‍্যাংকিংয়ে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি অর্জনকারী দল বাংলাদেশ।

fifa post for bangladesh

প্রথম ফটোকার্ড। ছবি- ফিফা

দ্বিতীয় ফটোকার্ডে ফিফা লিখেছে, ২০২৩ সালের আগস্টে ফিফা নারী বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে ১৪২তম স্থানে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ২০২৬ সালের এএফসি নারী এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করার পর বিশ্বের ১০৪ নম্বরে উঠে এসেছে তারা।

তৃতীয় ফটোকার্ডে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা লিখেছে, এর আগে এএফসি নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু ২০২৫ সালের বাছাইপর্বে তারা অপরাজিত থেকে বাছাইপর্ব শেষ করেছে। আগামী বছর মূল টুর্নামেন্টে শীর্ষ ছয়ের মধ্যে থাকতে পারলে প্রথমবারের মতো ফিফা নারী বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের সামনে।

fifa post for bangladesh

তৃতীয় ফটোকার্ড। ছবি- ফিফা

চতুর্থ কার্ডে লেখা ছিল, বাংলাদেশের এই দ্রুত অগ্রগতির পেছনে রয়েছে নারী ফুটবল কৌশলগত পরিকল্পনা “এম্পাওয়ার হার: ২০২৪-২০২৭”। এছাড়া ফিফার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প থেকেও ধারাবাহিক সহায়তা পেয়েছে দলটি।

পঞ্চম কার্ডে সংস্থাটি লিখেছে, পরপর দুইবার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের মধ্য দিয়ে দলটির আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। ফিফা ফরোয়ার্ড প্রোগ্রামের অর্থায়নে উপকৃত হয়েছে এই টুর্নামেন্টটি।

ষষ্ঠ কার্ডে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের মন্তব্য তুলে ধরেছে ফিফা। যেখানে তিনি বলেন, নারী ফুটবলের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে ফিফা, যে কারণে বাংলাদেশে এ নিয়ে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি হয়েছে। তাতে নারী ফুটবলের প্রতি দর্শকদের আগ্রহও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

fifa post for bangladesh

ষষ্ঠ ফটোকার্ড। ছবি- ফিফা

প্রসঙ্গত, ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থান। এর আগে ২০১৭ সালে ১০০তম স্থানে উঠেছিল বাঘিনীরা, যা বাংলাদেশের নারী ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান।

ক্রিফোস্পোর্টস/৭আগস্ট২৫/বিটি

Crifosports announcement
Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in ফুটবল