
ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের দেড়শ বছরের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম খেলোয়াড় হিসেবে জাতীয় দলে ডাক পেলেন জেড স্পেন্স। ইংলিশদের আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচকে সামনে রেখে টটেনহ্যামের এই ফুলব্যাকে দলে নিয়েছেন কোচ টমাস টুখেল।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে অ্যান্ডোরা এবং সার্বিয়ার বিপক্ষে খেলবে ইংল্যান্ড। আসন্ন ম্যাচগুলোতে মাঠে নামলেই প্রথম মুসলিম ফুটবলার হিসেবে ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলার ইতিহাস গড়বেন ২৫ বছর বয়সী এই ফুলব্যাক।
প্রথম মুসলিম ফুটবলার হিসেবে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে বিস্মিত হয়েছেন স্পেন্স। এত বড় সুযোগকে আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন তিনি। স্পেন্স বলেন, ‘আমি এটা দেখেছি। আমার জন্য এটা আশীর্বাদ। সত্যিই দারুণ এক অনুভূতি। এটা জানতে পেরে আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম। সত্যিই আমি প্রথম মুসলিম ফুটবল। এটা অনেকে অসাধারণ, আমি কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’
এর আগে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়েও খেলেছেন স্পেন্স। প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেয়ে কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না জানিয়ে বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে কিছু কিছু বিষয়ে আমি কোনো চাপ অনুভব করছি না। আমি শুধুমাত্র হাসিমুখে ফুটবল খেলতে চাই এবং খেলাটা উপভোগ করতে চাই। বাকিটা পরে দেখা যাবে।’
ধর্মের প্রতিও অনেক অনুরাগ রয়েছে স্পেন্সের। তিনি প্রকাশ্যে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলে আসছেন। কোনো কাজে সফলতা পেলে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করেন না এই ফুটবলার। তাছাড়া জীবনের খারাপ সময়েও সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস রাখেন।
স্পেন্স বলেন, ‘আল্লাহই সর্বশক্তিমান। আমি অনেক প্রার্থনা করি। সবসময় আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়েও বিশ্বাস করেছি আল্লাহ আমার পাশে আছেন। যখন আমি খুব ভালো সময়ে আছি, তখনও আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকি। আমার বিশ্বাস আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার।’
২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সারির দল মিডেলসবর্গের হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয় স্পেন্সের। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ক্লাব পরিবর্তন করেছেন তিনি। সবশেষ ২০২৪ সালে সিরি আ ক্লাব জিয়োনা থেকে টটেনহ্যামে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে দারুণ এক মৌসুম কাটিয়ে নজর কাড়েন টুখেলের। তাতেই জায়গা মিলেছে থ্রি লায়ন্সদের স্কোয়াডে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৪সেপ্টেম্বর২৫/বিটি
