
২০২২ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে সেরা সময় পার করেন এবাদত হোসেন। দারুণ ছন্দ নিয়ে পা রাখেন ২০২৩ সালে। সে বছরও বেশ ভালোই করছিলেন তিনি। টেস্ট-ওয়ানডেতে খেলছিলেন নিয়মিত। তবে বছরের মাঝামাঝি সময়ে এক চোট তার সব কেড়ে নেয়। এরপর থেকেই জাতীয় দলের বাইরে আছেন এই পেসার।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হাঁটুর লিগামেন্টের চোটে পড়েন এবাদত। এতে লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যান তিনি। দীর্ঘ ১৬ মাসের চোট কাটিয়ে গত বছরের শেষদিকে এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে মাঠে ফেরেন তিনি।
মাঠে ফেরার পরই পুরোনো ছন্দে খুঁজছেন এবাদত। সবশেষ বিপিএলেও অংশ নিয়েছেন তিনি। তবে তারকায় ঠাসা ফরচুন বরিশালের খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি এই পেসার। এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলেছেন। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড এ দলের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও খেলেছিলেন তিনি। সেখানে দুই ম্যাচে শিকার করেন ২ উইকেট। এছাড়া চারদিনের ম্যাচেও খেলেছেন তিনি
সবমিলিয়ে এখন পুরোপুরি ফিট আছেন এবাদত। তাই আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরতে আত্মবিশ্বাসী এই পেসার।
আরও পড়ুন :
» সেপ্টেম্বরে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ, পাকিস্তান খেলবে কোথায়?
» ভ্রমণক্লান্তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেশে ফিরেই অনুশীলনে হামজা
সোমবার (২ জুন) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এবাদত বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আগে যে ছন্দে ছিলাম সেই ছন্দটা ধীরে ধীরে ফিরে পাচ্ছি। আমি আমার প্রস্তুতি ভালোভাবে নিচ্ছি, বাকি সিদ্ধান্ত নির্বাচকরা নেবেন। চোটের কারণে দীর্ঘদিন দলের বাইরে ছিলাম। এখন লক্ষ্য শ্রীলঙ্কা সিরিজ।’
তবে বর্তমানে জাতীয় দলে পেসারদের ঘাটতি নেই। গত কয়েক বছরে পেস বিভাগে অনেক উন্নতি টাইগাররা। এখন জাতীয় দলে সুযোগ পেতে গেলে সেরা পারফরম্যান্স দিয়েই নির্বাচকদের মন জয় করতে হবে। তাই পেস বিভাগে এখন প্রতিযোগিতাও বেশি বলে মনে করেন এবাদত।
এই পেসার বলেন, ‘২০২২ সালের পর থেকে আমাদের দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে আমাদের পেস বিভাগে সবাই প্রায় সমান। যে কাউকে যেকোনো সংস্করণে নেওয়া যাবে। এটা আমাদের জন্য খুবই পজিটিভ। আমরা একজন আরেকজনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছি, যেখানে সবাই ১৯–২০। এটা আমাদের ক্রিকেটের জন্য খুব ভালো জিনিস।’
শ্রীলঙ্কা সিরিজে প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হবে ঈদের পর। তবে পাকিস্তান সিরিজে বাইরে থাকা বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ঈদের আগেই মিরপুরে প্রস্তুতি সেরেছেন। যেখানে ছিলেন এবাদতও।
শ্রীলঙ্কায় পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়েই দেশ ছাড়বে টাইগাররা। ১৭ জুন গল টেস্ট দিয়ে মাঠে গড়াবে এই সিরিজ। এরপর ২৫ জুন দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে। এরপর ২,৫ ও ৮ জুলাই তিনটি ওয়ানডে এবং ১০,১৩ ও ১৬ জুলাই তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩জুন২৫/বিটি
