বড়দিনের ছুটির মাঝেও শৃঙ্খলার প্রশ্নে কোনো প্রকার ছাড় দিতে নারাজ ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। উৎসবের আমেজে খেলোয়াড়রা যেন খাওয়া-দাওয়ায় লাগামছাড়া না হন, সে বিষয়ে আগেভাগেই কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, ছুটির সময় অতিরিক্ত খেয়ে ওজন বাড়ালে তা মোটেও গ্রহণযোগ্য হবে না।
নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে শনিবারের প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচের আগে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে কথা বলেন গার্দিওলা। এর আগেই তিনি জানিয়ে রেখেছিলেন, বড়দিনের ছুটি শেষে অনুশীলনে ফেরার সময় খেলোয়াড়দের ওজন মাপা হবে। উদ্দেশ্য একটাই ফিটনেস নিয়ে কোনো ধরনের ছাড় না দেওয়া।
গার্দিওলা বলেন, ‘আমি নিজেই খাবার আর পানীয়ের কারণে চার-পাঁচ কেজি ওজন বাড়িয়েছি, তাই বিষয়টা আমি ভালোভাবেই বুঝি। কিন্তু আমার খেলোয়াড়রা গত দশ বছর ধরে অবিশ্বাস্য রকমের শৃঙ্খলাবদ্ধ। ওরা জানে, কোন জায়গায় সীমা টানতে হয়।’
দলের সামগ্রিক মানসিকতা ও পেশাদারিত্ব নিয়েও সন্তুষ্টির কথা জানান সিটি কোচ। তাঁর মতে, ‘গত মৌসুমে চোটের কারণে সময়টা আমাদের জন্য কঠিন ছিল। তবু খেলোয়াড়দের আচরণ ছিল অসাধারণ। এই দলে একটা মানদণ্ড আছে, সবাই জানে কী প্রত্যাশা করা হচ্ছে।’
২০ ডিসেম্বর ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ের আগে সিটির খেলোয়াড়দের ওজন পরীক্ষা করা হয়েছিল। তখন সবাই নির্ধারিত সীমার মধ্যেই ছিলেন। বৃহস্পতিবার স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ওজন মাপার একটি ছবি শেয়ার করেন। স্কেলে দেখা যায় ৯৪.৪ কেজি। ছবির ক্যাপশনে নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড লিখেছেন, ‘সব ঠিক আছে।’
ফিটনেস ইস্যুতে গার্দিওলার কড়াকড়ি নতুন কিছু নয়। ২০১৬ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর একাধিক খেলোয়াড়কে ওজনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না করা পর্যন্ত মূল দলের অনুশীলনের বাইরে রেখেছিলেন তিনি।
লিগের বর্তমান অবস্থান নিয়েও কথা বলেন গার্দিওলা। বলেন, ‘আমি চাই সবার চেয়ে ১০ পয়েন্ট এগিয়ে থাকতে। কিন্তু বাস্তবতা যা, সেটার মধ্যেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। আমরা এখনও প্রতিযোগিতায় আছি। সামনে অনেক কিছুই হতে পারে।’
ক্রিফোস্পোর্টস/২৭ডিসেম্বর২৫/টিএ
