
টেনিস কিংবদন্তি নোভাক জোকোভিচ তাঁর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে যোগ করলেন আরও একটি সোনালী পালক। উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে শততম জয়ের মাইলফলক স্পর্শ করে টেনিস ইতিহাসের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে গড়লেন বিরল কীর্তি।
উইম্বলডনের সবুজ ঘাসে জোকোভিচের রাজত্ব যেন এক অবিচ্ছিন্ন গল্প। একের পর এক ম্যাচ জিতে তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। শততম জয়ের এই অর্জন তাঁর অদম্য ইচ্ছাশক্তি, কঠোর পরিশ্রম এবং টেনিসের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসারই প্রতিফলন। রজার ফেদেরার এবং জিমি কনর্সের মতো কিংবদন্তিদের পাশে নিজের নাম লেখালেন জোকোভিচ, যা তাঁর অবিসংবাদিত প্রতিভা এবং দীর্ঘস্থায়ী আধিপত্যের সাক্ষ্য বহন করে।
তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে শনিবার মাত্র এক ঘণ্টা ৫০ মিনিটে স্বদেশী মিওমির কেচমানোভিচকে ৬-৩, ৬-০, ৬-৪ গেমে উড়িয়ে দিয়ে রেকর্ড ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের মালিক এই বিশেষ ক্লাবে নাম লেখালেন।
আরও পড়ুন:
» এশিয়া কাপ হকিতে শক্তিশালী চীনকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ
» শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আইসিসি থেকে বড় সুখবর পেল বাংলাদেশ
বয়স কেবল একটি সংখ্যা—এই কথাটি জোকোভিচ যেন বারবার প্রমাণ করছেন। তাঁর ফিটনেস, মানসিক দৃঢ়তা এবং কোর্টের প্রতি দায়বদ্ধতা তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য এক অনুপ্রেরণা। উইম্বলডনে তাঁর প্রতিটি ম্যাচই যেন একেকটি শিল্পকর্ম, যেখানে তাঁর নিখুঁত শট, অসাধারণ রিটার্ন এবং চাপের মুখেও শান্ত থাকার ক্ষমতা দর্শকদের মুগ্ধ করে।
আর তাইতো সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ‘পাম্পিং ডান্স’ করে উদযাপন করেন জোকোভিচ, যা এই টুর্নামেন্টে প্রতিটি জয়ের পর যেন তার ও তার সন্তানদের মধ্যে একটা প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
“উইম্বলডন কেবল আমার প্রিয় ও স্বপ্নের টুর্নামেন্ট নয়, বরং অধিকাংশ খেলোয়াড়েরই।”
“বেড়ে ওঠার সময় বেশিরভাগ শিশুই এখানে জয়ের স্বপ্ন দেখে এবং সেটাই আমি সৌভাগ্যবশত অনেকবার করতে পেরেছি। প্রিয় টুর্নামেন্টে যেকোনো ইতিহাস লেখাই আমার জন্য সৌভাগ্যের।”
আরও পড়ুন:
» ‘হ্যাপি ফোর্থ’ লিখে সাকিবপত্নীর পোস্ট, কোনো ইঙ্গিত দিলেন তিনি?
» মেসির ম্যাজিকে কাঁপল মন্ট্রিয়াল, মায়ামি পেল বড় জয়
বছরের তৃতীয় এই গ্র্যান্ড স্ল্যামে কেবল এককেই শত জয়ের কীর্তির দেখা মিলেছে তিনবার; আগের দুজন হলেন নারী এককের ৯ বারের চ্যাম্পিয়ন মার্তিনা নাভ্রাতিলোভা ও পুরুষ এককে আটবারের চ্যাম্পিয়ন রজার ফেদেরার।
এই শততম জয় শুধু একটি সংখ্যা নয়, এটি জোকোভিচের টেনিস ক্যারিয়ারের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। এই জয় তাঁর ঝুলিতে আরও অসংখ্য শিরোপা জয়ের আকাঙ্ক্ষাকে আরও বাড়িয়ে দেবে। টেনিসপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে জোকোভিচের কাছ থেকে আরও নতুন নতুন কীর্তি দেখার জন্য। উইম্বলডনের সবুজ গালিচায় তাঁর পদচারণা যেন থামার নয়, বরং এটিই তাঁর খেলার আসল মঞ্চ, যেখানে তিনি তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে চলেছেন বারবার।
ক্রিফোস্পোর্টস/৬জুলাই২৫/এসএইচএ
