
দীর্ঘ ১৮ বছরের ইউরোপীয় অধ্যায় শেষে শৈশবের ক্লাব রোসারিও সেন্ট্রালে ফিরে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়লেন আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। ৩৭ বছর বয়সে, ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে নিজের চেনা ঠিকানায় ফিরেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা, যা ভক্তদের মধ্যেও আবেগ ছড়িয়ে দিয়েছে।
ফুটবল পায়ে পথচলার শুরুটা হয়েছিল ১৯৯২ সালে। মাত্র চার বছর বয়সে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া পা রেখেছিলেন রোসারিও সেন্ট্রালের একাডেমিতে।
এই ক্লাবটিই ছিল তার ফুটবলের প্রথম পাঠশালা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০০৫ সালে তিনি এই ক্লাবের সিনিয়র দলে অভিষেক লাভ করেন। এরপর রোসারিও সেন্ট্রাল থেকেই তার ইউরোপীয় ফুটবলের বর্ণাঢ্য যাত্রা শুরু হয়।
আরও পড়ুন:
» রাতে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল মাদ্রিদ ও পিএসজি
» এবার মিশন সাফ শিরোপা, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে, প্রতিপক্ষ কারা?
প্রথমে পর্তুগালের বেনফিকা, এরপর স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ, ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ফ্রান্সের দাপুটে পিএসজি, ইতালির ঐতিহ্যবাহী জুভেন্টাস ঘুরে আবারও ফিরে গিয়েছিলেন প্রথম ইউরোপীয় ক্লাব বেনফিকায়। অবশেষে ৩৭ বছর বয়সে, তার ঝলমলে ক্যারিয়ারের একেবারে শেষ লগ্নে, ডি মারিয়া ফিরে এলেন তার শৈশবের চেনা ঠিকানায়, যেখানে তার স্বপ্নের বীজ বোনা হয়েছিল।
ক্লাব বিশ্বকাপ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে আর্জেন্টিনায় পৌঁছানোর পর রোসারিওর হাজার হাজার সমর্থক তাকে ঘিরে উল্লাসে ফেটে পড়ে। ক্লাবের পরিচিতি অনুষ্ঠানে নতুন জার্সি হাতে নিয়ে ডি মারিয়া এতটাই আবেগপ্রাপ্লুত হয়ে পড়েন যে, তাকে দৃশ্যতই কান্না ধরে রাখতে দেখা যায়নি।
অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার ফুটবল পথচলার প্রথম পর্যায় রোসারিও সেন্ট্রালে কেটেছে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে। এর মধ্যে সিনিয়র দলে তিনি খেলেছেন দুই বছর, যেখানে ৩৯ ম্যাচে ৬ গোল ও ২টি অ্যাসিস্ট করে নিজের প্রতিভার জানান দেন।
এরপরই তিনি পাড়ি জমান ইউরোপে, যেখানে তার ক্যারিয়ার ফুলে-ফেঁপে ওঠে। এই সময়ে তিনি চ্যাম্পিয়নস লিগ, কোপা আমেরিকা, ফ্রেঞ্চ লিগ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বকাপের মতো অসংখ্য শিরোপা জিতেছেন। এখন, এই কিংবদন্তি তার ক্যারিয়ারের চূড়ান্ত অধ্যায় লিখতে ফিরে এলেন সেই শৈশবের ক্লাবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৯জুলাই২৫/এসএইচএ
