
আইপিএলে ২০১৩ সালের আসরে বেটিং বিতর্কে নাম জড়ানোর অভিযোগে ১০০ কোটি রুপি মানহানির মামলা করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতের দুটি মিডিয়া চ্যানেল এবং এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল৷ মাদ্রাজ হাইকোর্ট গতকাল এক দশকের বেশি সময় পর উক্ত মামলার বিচার কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন৷
ধোনির পক্ষ থেকে হলফনামা জমা দিয়ে মামলা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়। এরপরেই বিচারক সিভি কার্তিকেয়ান এই নির্দেশ দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ এর বরাত দিয়ে জানা যায়, ধোনির পক্ষ থেকে যেসব প্রমাণ দাখিল করা হবে, সেসব নথিবদ্ধ রাখতে একজন অ্যাডভোকেট কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন বিচারক। একইসাথে ধোনির জবানবন্দি নেওয়া হবে৷ তবে তিনি সরাসরি উপস্থিত থেকে এসব বিচারিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন না। যেহেতু ভারতে তিনি তারকা, সে কারণে আদালতে তাঁর উপস্থিতি বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করতে পারে।
আইপিএলে বেটিং-বিতর্ক নিয়ে টিভি বিতর্কে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করা হয়। এর জের ধরে ২০১৪ সালে মানহানির মামলা করেন ধোনি।
সিনিয়র আ্যভকেট আর আর রমন ধোনির পক্ষ থেকে হলফনামা আদালতে জমা দেন। হলফনামায় বলা হয়, ‘অনুচিত কোনো বিলম্ব এড়াতে (বিচার শুরুর) এবং ন্যায়সংগত ও দ্রুত বিচার পেতে অনুরোধটি করা হয়েছে। আমি অ্যাডভোকেট কমিশনারকে সম্পূর্ণভাবে সহায়তা করব এবং মাননীয় আদালত এই বিচারকার্য এবং প্রমাণাদি নথিবদ্ধ করতে যা যা নির্দেশ দেবেন, সব মেনে চলব।’
আইপিএলের ইতিহাসে ২০১৩ সালের স্পট ফিক্সিং ও বেটিং বিতর্ক বেশ বড় ঘটনা। স্পট ফিক্সিংয়ে জড়ানোর অভিযোগে তিন ক্রিকেটার দোষী সাব্যস্ত হন। চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালস দুই বছর নিষিদ্ধ হয়। এ দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের উচ্চপদস্থ অফিশিয়ালদের বিরুদ্ধে বেটিংয়ে জড়ানোর অভিযোগ ছিল। ধোনি ২০২০ সালের আগস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও চেন্নাইয়ের হয়ে আইপিএলে খেলছেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/১২আগস্ট২৫/এমএ
