
সদ্য শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ বিভিন্ন দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাংলাদেশের জন্য। টানা চার ওয়ানডে সিরিজ পরাজয়ের পর এটা ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। তবে সবথেকে বেশী মাথায় ছিল ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জনের সমীকরণ। তবে সেখানে খুব একটা সুখবর পেল না টাইগাররা।
কেননা ওয়ানডে ফরমেটে ধারাবাহিক ব্যর্থতায় আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের ১০ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের পর আফগানিস্তান সিরিজে নিজেদের অবস্থানের উন্নতি করার সুযোগ থাকলেও তা পারেনি টাইগাররা। এবার ঘরের মাঠে অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবুও র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির দেখা পাওয়া যায়নি।
আগেই জানা ছিল, নবম অবস্থানে থাকা উইন্ডিজদের পেছনে ফেলে ৯ নম্বরে উঠে আসতে হলে এই সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জিততে হবে বাংলাদেশকে। এরপর সেই অবস্থান ধরে রাখতে পরবর্তী মাসে নিউজিল্যান্ড সিরিজে হারতে হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। তবে বাংলাদেশ যেহেতু হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি, তাই নিউজিল্যান্ড সিরিজে কোনও ম্যাচ না জিতলেও ৯ নম্বরেই টিকে থাকবে ক্যারিবিয়ানরা।
ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা সেরা ৮ দল সুযোগ পাবে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা এই টুর্নামেন্টের স্বাগতিক দল হওয়ায় র্যাঙ্কিংয়ের সেরা ৯ দল বাছাইপর্বের বাধা ছাড়াই অংশ নিতে পারবে বিশ্বকাপের মূল পর্বে। অবশ্য সরাসরি বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার এখনো অনেক সময় আছে। কেননা ২০২৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে হবে।
তবে এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ খুব বেশি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে না। আইসিসির ভবিষ্যত সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশের পরবর্তী ওয়ানডে সিরিজ আগামী ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে। মাঝে ব্যস্ত সময় কাটবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েও। এরমাঝে নতুন কোনও ওয়ানডে সিরিজ আয়োজন করতে পারবে কিনা বাংলাদেশ সেটা দেখার বিষয়। তখন আসতে পারে নতুন হিসাব।
তাই ওয়ানডে ফরমেটে নিজেদের অবস্থানের উন্নতি ঘটিয়ে সরাসরি ২০২৭ বিশ্বকাপে খেলা বাংলাদেশের জন্য কঠিনতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেলতে হতে পারে টুর্নামেন্টের বাছাইপর্ব। আর তাই অনিশ্চয়তায় টিকে রইল ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সরাসরি খেলার সুযোগ।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৩অক্টোবর২৫/এফএএস
