
আইপিএলের চলতি আসরে ইতোমধ্যে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে গুজরাট টাইটান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংস। আসরের চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফের দৌড়ে ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালস। তবে টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে আজ মুম্বাইয়ের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না দিল্লির। তবে নাটকীয় এক ম্যাচে মুম্বাইয়ের কাছে হেরে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই আইপিএল থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে মুস্তাফিজদের।
বুধবার (২১) মে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৫৯ রানে হারিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ওয়াংখেড়েতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান সংগ্রহ করেছে মুম্বাই। জবাবে খেলতে নেমে ১৮.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২১ রান তুলতে সক্ষম হয় দিল্লি।
এই জয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে মুম্বাইয়ের। ১৩ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে অবস্থান করছে দলটি।
এদিন রানতাড়ায় নেমে শুরুটা আশানুরূপ হয়নি দিল্লির। মুম্বাইয়ের বোলিং তোপে পাওয়া-প্লেতেই ফিরে যান ফাফ ডু প্লেসি (৬), লোকেশ রাহুল (১১) ও অভিষেক পরেল (৬)। এরপর ভিপরাজ নিগাম ঝোড়ো শুরুর আভাস দিয়ে ১১ বলে ২০ রান করে ফিরে যান। এরপর ট্রিস্টান স্টাবস মাত্র ২ রান করে ফেরেন।
আরও পড়ুন :
» জাকের-হাসানদের ব্যাটে লড়াকু পুঁজি পেল বাংলাদেশ
» বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান : একনজরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সময়সূচি
দলীয় ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর সামির রিজভি ও আশুতোশ শর্মার ব্যাটে ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে দিল্লি। তবে দারুণভাবে এগোতে থাকা এই জুটি ভেঙে দেন মিচেল স্যান্টনার। দলীয় ১০৩ রানের মাথায় সামিরকে ফেরান এই কিউই স্পিনার। একই ওভারে আশুতোশকেও প্যাভিলিয়নে ফেরান স্যান্টনার। সামির ৩৫ বলে ৩৯ এবং আশুতোশ ১৬ বলে ১৮ রান করে ফিরে যান।
শেষ পর্যন্ত ১২১ রানে গুটিয়ে যায় তারা। মুম্বাইয়ের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন মিচেল স্যান্টনার ও জাসপ্রীত বুমরাহ। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন চার বোলার।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো শুরুর আভাস দেয় মুম্বাই। তবে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার অফ কাটারে ব্যর্থ হয়ে উইকেটে পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান রোহিত শর্মা (৫)। পাওয়ার-প্লেতে দ্বিতীয় আঘাত হানেন মুকেশ কুমার। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে উইল জ্যাকসকে ফেরান এই পেসার। তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ২১ রান। এর পরেই ওভারেই আঘাত হানেন কুলদীপ যাদব। এই লেগস্পিনারের শিকার হয়ে ফিরে যান রায়ান রিকেলটন (২৫)।
এরপর কিছুটা ধীরগতিতে রান তুলে মুম্বাই। চতুর্থ উইকেটে ৪৯ বলে ৫৫ রান যোগ করেন সূর্যকুমার যাদব ও তিলাক ভর্মা। দলীয় ১১৩ রানের মাথায় তিলাককে (২৭) ফেরান মুকেশ। এরপর হার্দিক পান্ডিয়াও বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি। দুশমন্ত চামিরার শিকার হয়ে ৩ রান করে ফিরে যান মুম্বাই দলপতি।
তবে ১৮ ওভার পর্যন্ত ধীরগতিতে রান তুললেও শেষ দুই ওভারে মাচের দৃশ্যপট পালটে দেয় মুম্বাই। সূর্যকুমার ও নামান ধির মিলে শেষ দুই ওভারে ৪৮ রান তোলেন। তাদের ২১ বলে ৫৭ রানের জুটিতে ভর করে ১৮০ রানের পুঁজি পায় মুম্বাই।
দিল্লির হয়ে চার ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেছেন মুকেশ। মুস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। এছাড়া কুলদীপ ও দুশমন্ত একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স: ১৮০/৫ (২০ ওভার)
দিল্লি ক্যাপিটালস: ১২১/১০ (১৮.২ ওভার)
ফলাফল: মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ৫৯ রানে জয়ী
ক্রিফোস্পোর্টস/২১মে২৫/বিটি
