
বাংলাদেশে ফুটবল উন্মাদনা বছরজুড়ে মেতে থাকে। কখনো লিগ কিংবা উয়েফা আবার কখনো নেশনস কাপ।
তবে এবার চিত্রটা একটু ভিন্না। মেসি, রোনালদো, নেইমার অথবা রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা এসকল আলোচনা ছাপিয়ে দেশজুড়ে মেতেছে বাংলাদেশ ফুটবল।
জাতীয় দলের জার্সিতে একের পর এক অভিষেকের মধ্য দিয়ে তরুণদের আগ্রহের একটা বড় অংশ জায়গা করে নিয়েছে জামাল ভূইয়ারা।
আরও পড়ুন
» বিগব্যাশ ড্রাফটে ১১ বাংলাদেশি, কপাল খুলতে পারে কার?
» ডিসেম্বরে মেসি আসছেন ভারতে, হবে ‘দ্য গোট কনসার্ট
দীর্ঘদিন ফাঁকা পরে থাকা গ্যালারিতে এখম তিন ধারনের ঠাঁই নেই। সর্বশেষ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জাতীয় স্টেডিয়াম ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ।
হঠাৎ করে দেশীয় ফুটবলের এই নবজাগরণের পেছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিদেশী ফুটবলাররা।
দেশের টানে সর্বপ্রথম জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন জামাল ভূইয়া। এরপর এক এক করে এখন বেশ কয়েকজন প্রবাসী ফুটবলার রয়েছে জাতীয় দলে।
জামাল ভূইয়া থেকে তারিক কাজী, ফাহমিদুল, হামজা চৌধুরী, সামিত সোম প্রত্যেকেই যে প্রত্যয় নিয়ে এসেছেন তা-ই ১৮কোটি জনগণকে ফুটবল নিয়ে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। আশার বীজ বপন করছে ফুটবল প্রেমীরা।
তাদের ধারাবাহিকতা জাতীয় দলে যোগ দিতে মুখিয়ে আছেন কিউবা মিচেলও।
এই তরুণ তুর্কি তার ক্যারিয়ারের শুরুটা সান্দারল্যান্ডের যুব দলের হয়ে। খেলেছেন অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে। কদিন আগে সান্দারল্যান্ডের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে ওঠার স্বাদও পেয়েছেন তিনি।
তবে সান্দারল্যান্ডের স্টেডিয়াম অব লাইট থেকে আপাতত বিদায় বলতে হচ্ছে কিউবা মিচেলকে। ৮ বছর পর প্রিমিয়ার লিগে ফেরা সান্দারল্যান্ড নিজেদের স্কোয়াডের আকার বাড়াতে চায়। যার কারণে অনেক অ্যাকাডেমি গ্র্যাজুয়েটকেই থাকতে হচ্ছে ছাটাইয়ের তালিকায়। যার মধ্যে আছেন কিউবা মিচেলও।
তাই চলতি ট্রান্সফার উইন্ডোতে নিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানান, ‘এই মুহূর্তে সব কিছুই বেশ শান্ত, তবে প্রি-সিজনে আমার কিছু সুযোগ রয়েছে যেগুলো আমি কাজে লাগাতে চাই।’
জানাতে ভুলেননি বাংলাদেশের হয়ে খেলার কথাও। লাল-সবুজের জার্সি গায়ে তোলার আগ্রহ নিয়ে বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে আমার বাংলাদেশের হয়ে খেলার কথা ছিল। কিন্তু আমার রেজিস্ট্রেশন কয়েক ঘণ্টা দেরি হয়ে গিয়েছিল, তাই এখন অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
বাংলাদেশে আসা নিয়ে কিউবা মিচেল কথা বলেছেন হামজা চৌধুরীর সাথে। এখানকার অবস্থা জেনে নিয়ে বলেন, ইতোমধ্যে হামজা চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং ওর প্লে-অফ ফাইনাল ও বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছি। ওখানে সমর্থন দারুণ রকমের, তাই আমি দারুণ রোমাঞ্চিত—সেখানে গিয়ে খেলতে আর দেখতে চাই শুধু এটা থেকেই আর কী কী দরজা খুলে যায়।’
ক্রিফোস্পোর্টস/১৭জুন২৫/আইএস
