
চলমান নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং এর মান নিয়ে সমালোচনার দিন দিন বেড়েই চলেছে। টুর্নামেন্টের প্রথম দুই সপ্তাহেই দেখা গেছে বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত।
শুধু আম্পায়ারিং নয়, বিতর্ক দেখা গিয়েছে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) নিয়েও। মেয়েদের ক্রিকেটে ডিআরএস সীমিতভাবে ব্যবহৃত হওয়ায় বেশিরভাগ আম্পায়ার এ প্রযুক্তি ব্যবহারে অনভ্যস্ত।
বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত :
বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড এর ম্যাচে ১৭৯ রান তাড়া করতে নেমে ইংলিশ অধিনায়ক হিদার নাইট ব্যক্তিগত ১৩ রানে কাভারে স্বর্ণা আক্তারের হাতে ধরা পড়েন। ধরা পরার পর নাইট প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটা শুরু করেছিলেন, কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার জানান প্রমাণ অকাট্য না হওয়ায় আউট নন নাইট। শেষ পর্যন্ত ৭৯ রান করে দলকে খাদের কিনারা থেকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান নাইট।
ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত :
ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচে পাকিস্তানের ওপেনার মুনিবা আলী রানআউট হলেও টিভি আম্পায়ার পুরো ফুটেজ না দেখেই প্রথমে তাকে নট আউট ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে অবশ্য পুরো ফুটেজ দেখে তাকে আউট ঘোষণা করেন। তবে এ নিয়ে বেশ বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল।
ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত :
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে সুনে লুইসের বিপক্ষে এলবিডব্লুর আবেদন করে ভারত। আম্পায়ার নট আউট দিলে রিভিউ নেয় ভারত। রিভিউে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল ব্যাটের সঙ্গে বলের বেশ দূরত্ব ছিল। কিন্তু তৃতীয় আম্পেয়ার আলট্রা এজে ক্ষীণ শব্দ শোনার দাবী করে লুইস কে আউট ঘোষণা করেন।
ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত:
ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে অ্যালিসা হিলির ক্যাচ তালুবন্দী করেন স্নেহ রানা। তবে টিভি আম্পায়ার জানান বল মাটি স্পর্শ করে। তাই তাকে নট আউট ঘোষণা করা হয়। পরে অবশ্য আউটের ঘোষণা দেন।
চলমান নারী বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তৃতীয় আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করা ১০ জনের মধ্যে মাত্র ৩ জনের ২০টির বেশি ম্যাচে ডিআরএস ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে।
আইসিসি এখনো পর্যন্ত আম্পায়ারদের ডিআরএস অভিজ্ঞতা বা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টজুড়ে অভিজ্ঞতার ঘাটতি ও সিদ্ধান্তগ্রহণে তাড়াহুড়া নারী বিশ্বকাপের আম্পায়ারিংয়ে মান নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৯অক্টোবর২৫/এআই
