ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের পর আবারও প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে। তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজে একটিতেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি দল। আলোচনায় এসেছে কোচিং স্টাফদের ভূমিকা নিয়ে। বিশেষ করে ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের পারফরম্যান্স তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। তবে অধিনায়ক লিটন দাস এই দায় পুরোপুরি ক্রিকেটারদের কাঁধেই দিলেন।
গতকাল শেষ ম্যাচে ৫ উইকেটে হেরে হোয়াইটওয়াশের পর সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেন, “একজন শিক্ষক আপনাকে ধারণা দিতে পারেন, কিন্তু মাঠে তো খেলতে যাবেন না। কোচ মাঠে নামবেন না, খেলতে হবে আমাদেরকেই। আমরা যতই প্রস্তুতি নিই, তবে সেটা মাঠে বাস্তবায়ন করতে হবে ক্রিকেটারদের। আমাদের ব্যর্থতা এখানেই আমরা ব্যাট হাতে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের কোচরা সর্বোচ্চ সাপোর্ট দিচ্ছেন। আমরা সবাই জানি, কোথায় ভুল করছি। আশা করি এখান থেকে শিখে পরের সিরিজে ভালো কিছু করতে পারব।”
যদিও শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৫১ রান তোলে বাংলাদেশ। লিটনের মতে, এই রান কন্ডিশন অনুযায়ী খারাপ ছিল না। তাঁর মতে, “এই উইকেটে ২০০ করা বাস্তবসম্মত না। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমরা ১৬০ রান ডিফেন্ড করেছি। পিচ যদি তেমন আচরণ করে, ১৫০–১৬০ রানও জেতার মতো স্কোর হতে পারে। কিন্তু আজ পরিস্থিতি আমাদের পক্ষে ছিল না।”
লিটন জানান, শিশিরের কারণে ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নির্ধারিত হয়ে গেছে, “প্রথম ইনিংসে যখন আমরা ব্যাট করেছি, তখন বল স্পিন করছিল, গ্রিপ করছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে পুরো পরিস্থিতি পাল্টে যায়। বল একদম ভিজে গিয়েছিল, বোলারদের কিছু করার ছিল না। প্রথম দুই ম্যাচে এমন ডিউ দেখিনি, আজই প্রথম। ভাগ্য আমাদের পক্ষে ছিল না।”
ক্যাপ্টেন হিসেবে নিজের দল নিয়ে লিটনের বলেন, “আমাদের চেষ্টার ঘাটতি ছিল না। বোলাররা পুরো এফোর্ট দিয়েছে। যদি শিশির না পড়ত, ম্যাচটা ভিন্ন হতো। মাঠ শুকনো থাকলে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারতাম। এই উইকেটে ২০০ রান সম্ভব না, তবে ১৫০ ছিল লড়াই করার মতো। আমরা জানি কীভাবে ফেরত আসতে হয়।”
ক্রিফোস্পোর্টস/১নভেম্বর২৫/টিএ