Connect with us
ক্রিকেট

শরিফুল-রিশাদকে নিয়ে আশাবাদী কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে

চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ছবি- গুগল

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগারদের হয়ে আগুন ঝরানো বল করেছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। ওয়ানডেতে পাওয়া ঐতিহাসিক জয়ের পর প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও অন্যতম জয়ের নায়ক ছিলেন শরিফুল। তার স্বীকৃতিও পেয়েছেন টি-টোয়েন্টি সিরিজের সেরা প্লেয়ারের পুরস্কার জয়ের মধ্য দিয়ে।

টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই জোড়া আঘাত হেনেছিলেন শরিফুল। সেখান থেকেই মূলত কিউইদের ব্যাটিং লাইন আপে ধ্বস নামা শুরু হয়। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাউন্ট মঙ্গানুইয়েও শরিফুলের থেকে আগুন ঝরানো বোলিং দেখা যায়। বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেসে যাওয়ার আগ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মাধ্যমে স্বাগতিকদের ১ টি উইকেট শিকার করেন তিনি। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও আজ নজর কাড়া বল করেন এই ডান হাতি পেসার। নিজের উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে বল হাতে ৩.৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে  ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন। তার অসাধারণ বোলিংয়েই ১১০ রানের স্বল্প পুঁজিতেও জয়ের ক্ষীণ আশা বেঁচে ছিল সফরকারীদের। কিন্তু বৃষ্টি আইনে শেষমেশ ম্যাচটি বাংলাদেশ ১৭ রানে হেরেছে। ১-১ ব্যবধানে সিরিজটি ড্র হলেও ৩ ম্যাচে ৬ উইকেট শিকার করা শরিফুল ইসলাম সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছেন। 

ম্যাচ শেষে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কণ্ঠেও শোনা গেল শরিফুল বন্দনা, ‘আমরা ড্রেসিংরুমে এটি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম যে, ৮ মাস আগেও যে আমাদের সাথে নিয়মিত খেলার সুযোগ পায়নি সেই শরিফুল গত কয়েক মাসেই তিন ফরম্যাটে দলের হয়ে দুর্দান্ত বল করে যাচ্ছে। সে বর্তমানে দলের সেরা বোলার। আরেকজন হল রিশাদ হোসেন। সাদা বলের ক্রিকেটে আমরা তাকে যে সুযোগটা দিয়েছিলাম তা সে কাজে লাগিয়েছে। রিশাদ তার পরীক্ষায় উতরে গেছে।’

শরিফুল ছাড়াও নিউজিল্যান্ডে সফরে পারফরমেন্স দিয়ে নজর কেড়েছেন সদ্য অভিষিক্ত লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তার বোলিং নিয়ে কোচ হাথুরুও যে সন্তুষ্ট তা তার কথাতেই স্পষ্ট। সামনের দিনগুলোতেও যে বাংলাদেশের জার্সিতে এই তরুণ লেগিকে দেখা যাবে তা হাথুরুসিংহের কথাতেই স্পষ্ট বোঝা গেছে। প্রথম ওয়ানডেতে  ৯.২ ওভার বল করে ৬২ রান দিয়ে উইকেট শূণ্য থাকা দ্বিতীয় ম্যাচে আর সুযোগ পাননি। তবে তৃতীয় ওয়ানডেতেই মূলত সবার নজর কাড়েন এই লেগি। কিউইদের মাত্র ৯৮ রানে অলআউট করার ম্যাচেও উইকেট শূণ্য থাকলেও ৩ ওভার বল করে ৪ রান দেন।

পরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বল হাতে ৩ ওভারে ২৪ রান দিয়ে শিকার করেন ১ উইকেট। বৃষ্টি বিঘ্নিত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিন ওভারে ১০ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শূণ্য। শেষ ম্যাচে ২ ওভারে দেন ১৯ রান। রিশাদকে নিয়ে গণমাধ্যমে হাথুরু বলেন, ‘রিশাদকে আমরা সাদা বলের ক্রিকেটে যে সুযোগটা দিয়েছিলাম তা সে লুফে নিয়েছে।’

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ফুটবলে কে কতবার কাপ নিয়েছে? চ্যাম্পিয়নদের তালিকা

ক্রিফোস্পোর্টস/৩১ডিসেম্বর২৩/এমএ

Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in ক্রিকেট