রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচে একাধিক সুযোগ এনেছিল ঠিকই, কিন্তু গোলের সামনে গিয়েই ছন্দ হারিয়ে ফেলে তারা। কিলিয়ান এমবাপ্পে নেই সেই অনুপস্থিতি তাদের ভোগাবে তা আগে থেকেই অনেকটা অনুমেয় ছিল। তবে সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ের স্কোরবোর্ডও তা খুব স্পষ্টভাবেই মনে করিয়ে দিল। পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ২–১ ব্যবধানে দারুণ এক জয় তুলে নিল ম্যানচেস্টার সিটি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয়বার হার দেখলো রিয়াল। বল দখলে এগিয়ে থেকেও নিজেদের মতো করে ম্যাচ শেষ করতে পারেনি শাবি আলোনসোর দল। ১৬ বার শট নিলেও লক্ষ্যে ছিল মাত্র একটি।
রদ্রিগোর গোলশূন্যতা কাটলেও তাতেও বাঁচতে পারল না রিয়াল। প্রথমার্ধে ২৮ মিনিটে দারুণ ফিনিশে লিড এনে দেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। বেলিংহ্যামের পাস থেকে আসা বলটাকে দারুণভাবে কাজে লাগান তিনি।
কিন্তু সেই লিড টিকল মাত্র সাত মিনিট। কর্নার থেকে ভার্দিওলের হেড থিবো কোর্তোয়া ঠিকমতো গ্লাভসে নিতে পারেননি। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নিকো ও’রাইলি বল পেয়েই গোল করে সমতা ফেরান। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি তার প্রথম গোল।
হলান্ডের পেনাল্টিতে বিরতির আগে এগিয়ে যায় সিটি। রুডিগারের ফাউলে শুরুতে কিছুই দেখেননি রেফারি, ভিএআর মনিটরে দেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। কোর্তোয়া আগেই ডাইভ দেওয়ায় সহজেই অন্য কোণ দিয়ে গোল করেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার।
বিরতির পর রিয়াল কিছু সময় ম্যাচে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিলেও গোলের সামনে গিয়ে আবারও ফিনিশিং ব্যর্থতায় ভুগতে হয়েছে তাদের। বেলিংহ্যামের ক্রসবারের ওপর দিয়ে শট, রদ্রিগোর বাইরে মারা বল, ভিনিসিউসের দুইটা নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট সব মিলিয়ে হতাশার রাত পার করেছে রিয়াল।
অন্য দিকে সিটি সুযোগ পেলেই আঘাত হানার চেষ্টা করেছে। ডোকুর শট, শের্কির চেষ্টা কিংবা হলান্ডের গতিময়তা সব মিলে রিয়ালের ডিফেন্স বিভাগকে যথেষ্ট পরীক্ষার মধ্যে ফেলেছে তারা। ম্যাচে যথেষ্ট সময় বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেও পরবর্তীতে আর গোলের দেখা পায়নি রিয়াল।
এই হারে ছয় ম্যাচে চার জয়ে সাত নম্বরে নেমে গেল রিয়াল। অন্যদিকে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় চার নম্বরে সিটি। তার উপরেই পিএসজি ও আতালান্তা। শীর্ষে রয়েছে আর্সেনাল, টানা ছয় জয় নিয়ে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১১ডিসেম্বর২৫/টিএ