গত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শেষে বেশ আলোচনায় উঠে এসেছিল ফিক্সিংয়ের বিষয়টি। ফিক্সিং ইস্যুতে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের নাম উঠে এসেছিল গণমাধ্যমে। এরপরেই নড়েচড়ে বসে ক্রিকেট বোর্ড। এরপর স্বাধীন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাসহ ১৮-১৯ জনের নাম সন্দেহের তালিকায় উঠে আসে।
দেশের ক্রিকেটে দুর্নীতি রোধের জন্য আইসিসিতে কাজ করা অ্যালেক্স মার্শালকে দুর্নীতিদমন বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয় বিসিবি। এরপর সন্দেহের তালিকায় থাকা খেলোয়াড়দের যাচাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় মার্শালকে। যাচাই শেষে নিলামের চূড়ান্ত তালিকা থেকে কয়েকজন ক্রিকেটারকে বাদ দিয়েছে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল।
সবশেষ আসরের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু যে না ঘটে, সেজন্য আগেভাগেই সতর্ক অবস্থানে বিসিবি। এমনকি টুর্নামেন্ট চলাকালে কেউ যেন ফিক্সিং করতে না পারে কিংবা ফিক্সিং করলেও যেন সাথে সাথেই ধরা পড়েন, সেজন্য এক কঠিন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বিসিবি। বিপিএল চলাকালীন প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) সদস্য নিয়োগ দিতে যাচ্ছে বিসিবি।
প্রতিটি ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে সিআইডির একজন পোশাকধারী সদস্য এবং আরেকজন সাদা পোশাকে থাকবেন। পাশাপাশি বিসিবির নৈতিকতা দলের সদস্যরাও থাকবেন। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন।
গতকাল (রোববার) বিপিএল নিলাম শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ প্রসঙ্গে সাখাওয়াত বলেন, ‘খেলার স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা রক্ষার জন্য আমরা নতুন একটা উদ্যোগ দিয়েছি।বিপিএলে আমাদের নৈতিকতা দল তো থাকবেই, একইসঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডি যে বিভাগ আছে, তাদের সঙ্গে একটা সমঝোতা চুক্তি করছি। বিপিএলে প্রতিটি দলেফ সঙ্গে সিআইডির দুজন অফিসার, একজন পোশাকধারী, অন্যজন সাদাপোশাকে থাকবেন।’
বিসিবির বিশ্বাস, সিআইডি তাদের আধুনিক যন্ত্রপাতি কাজে লাগিয়ে দূর্নীতি রোধে এবং খেলার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বড় ভূমিকা পালন করবে। সাখাওয়াত বলেন, ‘সিআইডি হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট। তাদের কাছে অনেক আধুনিক প্রযুক্তি আছে। এমনকি হোয়াটস্যাপের কথাও তারা দেখতে পারে। তারা সেগুলো কাজে লাগিয়ে কাজ করতে পারবে।’
সব ঠিক থাকলে আগামী ২৬ ডিসেম্বর বিপিএলের দ্বাদশ আসর শুরু হবে। প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১ডিসেম্বর২৫/বিটি