
বিপিএলের গত আসর দিয়ে এক দশক পর পুরোনো ফ্রাঞ্চাইজির অধীনে টুর্নামেন্টটিতে অংশ নিয়েছিল চিটাগং। তবে আগামী আসরের আগেই ফের বিপিএল থেকে বাদ পড়ল ফ্রাঞ্চাইজিটি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি লঙ্ঘন করেছে চিটাগং কিংস। যে কারণে ফ্রাঞ্চাইজিটির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে বিসিবি। এর ফলে বিপিএলের পরবর্তী আসরে আর অংশ নিতে পারবে না চিটাগং কিংস।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চুক্তি বাতিলের বিষয়টি জানিয়েছে বিসিবি। একইসঙ্গে ফ্রাঞ্চাইজিটির কাছে সুদসহ ৩৭ লাখ ৮২ হাজার ১৫৬ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪৬ কোটি টাকা) পাওনা দাবি করেছে বোর্ড।
চিটাগং কিংসের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান এস. কিউ. স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের অধীনে বিপিএলের তিন আসরে অংশ নিয়েছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। বিসিবির বিবৃতিতে জানানো হয়, বিপিএলের প্রথম দুই আসরে (২০১২ ও ২০১৩) অংশ নেয়ার পর অনুযায়ী আর্থিক ও আইনি বাধ্যবাধকতা রক্ষা করেনি এস. কিউ. স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড। বেশ কয়েকবার নোটিশ পাঠানোর পরও তারা ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি, কর পরিশোধ, খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্টের পাওনা পরিশোধ করেনি।
বিসিবির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী কাজ না করায় বিপিএলের পরবর্তী আসরগুলোতে আর দেখা যায়নি এস. কিউ. স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের অধীন চিটাগং ফ্রাঞ্চাইজিকে। তবে ফের বিপিএলে অংশগ্রহণের আগ্রহ দেখিয়ে ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিসিবির সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি করে তারা। সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, বিসিবিকে সাড়ে তিন কোটি টাকা প্রদান করার কথা ছিল প্রতিষ্ঠানটির। তবে এখনো বকেয়া পরিশোধ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
এর ফলে সমঝোতা চুক্তি বাতিল করেছে বিসিবি। তাছাড়া ২০১২ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত বকেয়া অর্থ একসঙ্গে দাবি করেছে বোর্ড। যেখানে সুদ যোগ হয়ে মোট বকেয়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৬ কোটি টাকা।
তাছাড়া বিপিএলের গত আসরে চিটাগং কিংসের পারিশ্রমিক জটিলতা নিয়ে অনেক অভিযোগ উঠেছিল। খেলোয়াড় থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফ এবং হোটেল ভাড়াও বকেয়া আছে ফ্রাঞ্চাইজিটির। তবে সবশেষ বোর্ড সভার পর সিদ্ধান্ত এসেছিল, ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর বকেয়া টাকা পরিশোধ করবে বিসিবি।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪আগস্ট২৫/বিটি
