সর্বশেষ ২০০৬ সালে যুব এশিয়ান কাপে খেলেছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। এরপর প্রায় দুই দশক পেরিয়ে গেলেও এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলা হয়নি লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। তবে দীর্ঘ ২০ বছর পর আবারও এশিয়ান কাপের মূলমঞ্চে খেলার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে।
আসন্ন ২০২৬ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে বর্তমানে বাছাইপর্ব খেলছে বাংলাদেশ যুব দল। যেখানে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশ খেলছে ‘এ’ গ্রুপে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে শক্তিশালী চীন ও বাহারাইনের মতো দেশ। এছাড়াও শ্রীলঙ্কা, ব্রুনেই ও পূর্ব তিমুর থাকছে একই গ্রুপ। চলতি নভেম্বরে সকল দলের বিপক্ষে বাছাই পর্বের সব ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
পূর্ব তিমুরকে হারানোর পর বাছাইয়ের ‘এ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ খেলবে আরও ৪টি ম্যাচ। আগামীকাল ২৪ নভেম্বর ব্রুনেই, এরপর ২৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা, ২৮ নভেম্বর বাহরাইন ও ৩০ নভেম্বর শক্তিশালী চীনের বিপক্ষে মাঠে নামবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। প্রতিটি দলের ৫টি করে ম্যাচ শেষে মাত্র একটি দল যাবে মূলপর্বে।
আগামী বছরের মে মাসে ১৬ দল নিয়ে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপের আসর। গেল আসরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় ইতোমধ্যে ৯ দল সরাসরি এশিয়ান কাপে খেলার টিকিট নিশ্চিত করেছে। বাকি ৭ দলগুলো পেরিয়ে আসবে বাছাইপর্ব। যেখানে বাংলাদেশের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ চীন ও বাহারাইন ম্যাচ।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল দল।
১৯৮৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ৬ বার খেলেছিল যুব এশিয়ান কাপের মূল আসর। অবশ্য যেখানে কখনো গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। তবে ২০০৬ সালের পর বিগত দুই দশকে আর কখনো বাছাইপর্ব পেরিয়ে টুর্নামেন্টের মূল আসরেই খেলা হয়নি লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
আগামী বছর সৌদি আরবের মাটিতে হতে যাওয়া এই যুব এশিয়ান কাপে ইতোমধ্যে নিজেদের অবস্থান পাকা করে রেখেছে বিশ্বকাপ খেলা বেশ কিছু দল। যেখানে আয়োজক দেশ সৌদি আরব ছাড়া বাকি ৮টি দল– ইন্দোনেশিয়া, জাপান, উত্তর কোরিয়া, কাতার, দক্ষিণ কোরিয়া, তাজিকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও উজবেকিস্তান।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৩নভেম্বর২৫/এফএএস