
গতকাল (৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন।নির্বাচনে সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সদ্য সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এছাড়া সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ এবং বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেন।
এবারের নির্বাচন নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও আমিনুল ইসলাম বুলবুল মনে করেন, সব দেশের সব সেক্টরের নির্বাচনে এমন বিতর্ক থাকে। বুলবুল জানান, গঠনতন্ত্র ও বিধিমালা মেনেই তারা নির্বাচন করেছেন। তবে যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন তাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চান তিনি।
নিজের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে বুলবুল বলেন, ‘প্রথমেই সোজাসাপ্টা একটা স্টেটমেন্ট দিতে চাই। আমরা সবাই একসাথে কাজ করতে চাই বাংলাদেশের ক্রিকেটে। কারা ক্রিকেট বোর্ডে আছে কারা ক্রিকেট বোর্ডে নেই- সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের আমরা আহ্বান জানাবো বাংলাদেশের ক্রিকেটের কাজে কাজ করতে এবং আমাদেরকে সহায়তা করতে। এখানে হয়ত বিতর্ক নির্বাচনের আগে সব দেশে, সব জায়গায়, সব সেক্টরেই হয়।’
বিসিবি নির্বাচন গঠনতন্ত্র মেনেই হয়েছে উল্লেখ করে বুলবুল আরও বলেন, ‘আমার জানা মতে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের যে গঠনতন্ত্র আছে সেটার মধ্যে থেকেছি। নির্বাচনের যে বিধিমালা ছিল তার মধ্যে ছিলাম। কিন্তু সোজা উত্তর হচ্ছে, কে বোর্ডে আছে কে বোর্ডে নেই- আমরা সবাইকে আহ্বান জানাবো আমাদের সাথে একসাথে কাজ করে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। দরকার হলে আমরা তাদের কাছে যাব এবং যারা এই মুহূর্তে বোর্ডে নেই তাদেরকেও আমরা আহ্বান জানাবো আমাদের যেন এই পথচলায় সহায়তা করে।’
এবারে মোহামেডান ও আবাহনীর মতো বড় ২ প্রভাবশালী ক্লাবের কোনো প্রতিনিধি নেই বোর্ডে। বুলবুল জানান, দেশের ক্রিকেটের জন্য প্রয়োজনে তামিমদের কাছে যাবেন তিনি।
সকলকে নিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বুলবুল বলেন, ‘যেটা আগেও বলেছি আমরাই যাব তাদের কাছে যারা আসতে পারেনি। অ্যাপ্রোচ করব কিভাবে তারা আমাদের সহায়তা করতে পারে ক্রিকেটে। বাংলাদেশ তো সবার, নির্বাচন তো ছোট্ট একটা আনুষ্ঠানিক ব্যাপার। সকলের কাছে গিয়ে একসাথে টেনে নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।’
এবারের বিসিবি নির্বাচন নিয়ে প্রথম থেকেই ছিলো নানা আলোচনা-সমালোচনা। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও নানা অভিযোগ তুলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অনেকেই। ফলে প্রথমে বিসিবি নির্বাচনে যে আমেজ লক্ষ্য করা গিয়েছিল শেষে এসে তা আর থাকেনি। তবে বিসিবি সভাপতি সকলকে নিয়ে কাজ করতে চান দেশের ক্রিকেটের কল্যাণে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৭অক্টোবর২৫/এআই
