সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বিপিএলের ১২তম আসর। তার আগে বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোন ব্যস্ততা নেই বাংলাদেশের। তাই আগামী বছর হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সম্পূর্ণ মনোযোগ রেখে এই বিপিএলে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় থাকবেন টাইগার ক্রিকেটাররা।
এদিকে বিগত লম্বা সময় যাবত টানা খেলার মধ্যে ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে বিপিএলের আগ পর্যন্ত কিচ্ছুটা অবসর সময় কাটাবেন তারা। জাতীয় দলের অধিনায়ক লিটন দাস মনে করেন লম্বা ব্যস্ততার পর এই বিরতি অনেকটাই প্রয়োজন ছিল ক্রিকেটারদের জন্য।
গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন লিটন দাস। যেখানে তিনি বলেন, ‘যেহেতু খেলোয়াড়রা বেশ অনেকদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে, এখন তারা একটা বিরতি পাবে, এটাও দরকার ছিল। কারণ সবসময় ক্রিকেট খেললেই হয় না, জীবনের ভারসাম্য রাখতে বিরতি জরুরি।’
এছাড়া লিটন মনে করেন আসন্ন বিপিএল হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতির মঞ্চ, ‘যেহেতু বিপিএল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের, খেলোয়াড়রা যদি সেভাবে পারফর্ম করতে পারে, আমাদের জাতীয় দলে থাকা খেলোয়াড়রাও, অন্যান্য খেলোয়াড়রাও যদি সবাই ভালো পারফর্ম করে, তাহলে এটা বিশ্বকাপের আগে ভালো একটি আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে।’
আসন্ন বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে। তাই উপমহাদেশের কন্ডিশন বিবেচনায় বিপিএলের ভিন্ন তিন ভেন্যুতে মানিয়ে নেওয়া হবে ভালো প্রস্তুতি। লিটন বলেন, ‘বিপিএলে তিন ভেন্যুতে তিন ধরনের খেলা হবে। সবসময় ভালো উইকেট মিলবে না, আবার সবসময় খারাপও নয়। যেদিন যেটা পাবেন, সেভাবে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছেন কিনা – এটাই আসল।’
লিটন দাসের মতে আসন্ন বিপিএলে যদি জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেন তবে বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাসী থাকবেন তারা। যা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে ২০২৬ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তাই বিপিএলে ভালো করে আগামী বছর ভারত ও শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে আত্মবিশ্বাস সঙ্গে করে নিয়ে যেতে চান লিটন।
ক্রিফোস্পোর্টস/৫ডিসেম্বর২৫/এফএএস