বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম আসর সামনে। পূর্বের তথ্যানুযায়ী ১৯ ডিসেম্বর শুরু হয়ে টুর্নামেন্ট চলবে প্রায় এক মাস, যার ফাইনাল হতে পারে ১৬ জানুয়ারি। এমনই সম্ভাব্য সূচি জানিয়েছিল বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। কিন্তু মাঠে গড়ানোর আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, খেলোয়াড় নিলাম, সেই জায়গাতেই বারবার আটকে যাচ্ছে। এবার পেছালো বিপিএলের নিলামের তারিখ।
শুরুতে নিলাম হওয়ার কথা ছিল ১৭ নভেম্বর। পরবর্তীতে তারিখ সরিয়ে ২১ নভেম্বর করা হয়। এরপর নতুন দিন ঠিক হয় ২৩ নভেম্বর। জানা গিয়েছিল হোটেল রুম পর্যাপ্ত না পাওয়ায় পেছানো হয়েছে নিলামের তারিখ। কিন্তু ওই দিনটিও আর নির্ধারিত থাকছে না। বিসিবির একজন শীর্ষ পরিচালক নিশ্চিত করেছেন, ২৩ নভেম্বর নিলাম হচ্ছে না। তবে তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানিয়েছে, সম্ভাব্য ৩০ নভেম্বর বেলা ৩টায় রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলে (রেডিসন ব্লু) নিলাম হবে।
আগের আসর আয়োজন করতে গিয়ে নানা সমস্যা সামলাতে হয়েছিল বোর্ডকে বকেয়া পাওনা, স্পট ফিক্সিং বিতর্ক, ফ্র্যাঞ্চাইজি বরাদ্দে নিয়ম না মানার অভিযোগ সব মিলে পুরো টুর্নামেন্টই ছিল চাপের মধ্যে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এবার কঠোর হচ্ছে বিসিবি। ফ্র্যাঞ্চাইজি ফির দুই কোটি টাকার সঙ্গে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি।
তবে আসল সমস্যাটা এখানেই। পাঁচ দলের মধ্যে দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি এখনও ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিতে পারেনি। আর সেটিই নিলাম পিছিয়ে যাওয়ার বড় কারণ। জানা গেছে, চট্টগ্রাম রয়্যালস দলটির ব্যাংক গ্যারান্টি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এখন শেষ পর্যন্ত কি ফলাফল আসে সেটাও এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।
এবার ড্রাফট নয়, দীর্ঘদিন পর নিলাম পদ্ধতিতে খেলোয়াড় নেওয়া হবে। এজন্য আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থাকা কর্মীদের আনার প্রস্তুতিও চলছে। তবে ব্যাংক গ্যারান্টির ঝামেলা মিটানোর অভাবে সব কিছুই আপাতত আটকে গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে শুরু হওয়া বিপিএলের প্রথম দুই আসরে খেলোয়াড় বাছাই হয়েছিল নিলামের মাধ্যমে। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের আসর থেকে চালু হয় ড্রাফট পদ্ধতি। তবে এবার ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর দাবি মেনে নিয়ে আসন্ন বিপিএলের আগে সেই পুরোনো নিলাম আয়োজন করতে যাচ্ছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। বিপিএলকে কেন্দ্র করে এরি মধ্যে সবগুলো দুইজন করে দেশি সাইনিং সম্পন্ন করেছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২০নভেম্বর২৫/টিএ