
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টানটান উত্তেজনাকর তৃতীয় দিনের খেলায় ঘটে গেছে নানা ঘটনা। এর আগের প্রথম দুই দিনের খেলা পতন হয়েছিল মোট ২৮ উইকেটে। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে গতকাল অস্ট্রেলিয়া যখন মাঠে নামে তখন তাদের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান। এদিন বাকি দুই উইকেট হাতে নিয়েই অজিরা লিখেছে রূপকথার গল্প।
তৃতীয় দিনের শুরুর সকালেই অস্ট্রেলিয়া নিজেদের নবম উইকেট হিসেবে হারায় নাথান লায়নকে। ১৪৮ রানের ৯ উইকেট পতনের সবাই ভাবছিল দ্রুত ইনিংস হবে শেষ। কেননা সেখানে দাঁড়িয়ে যেকোন স্বীকৃত ব্যাটারের জন্য ব্যাট করাও ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে সকলের চিন্তার বাইরে গিয়ে জশ হ্যাজেলউডকে সঙ্গী করে শেষ উইকেটে ৫৯ রানের জুটি গড়েন মিচেল স্টার্ক।
এতে শেষ পর্যন্ত অজিদের ইনিংস পৌঁছায় ২০৭ রানে। স্টার্ক অপরাজিত ছিলেন ১৩৬ বলে ৫৮ রান করে। যেখানে তিনি হাঁকিয়েছেন ৫ টি চারের মার। যদিও এর আগে স্টার্কের টেস্টে দশবার ফিফটি করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের মঞ্চে এই ইনিংসটি যেন বিশেষ কিছু।
আরও পড়ুন:
» প্রথম আইসিসি শিরোপা জয়ের হাতছানি দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে
» দ্বিতীয় বহরে শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছেন মিরাজরা, টেস্ট শুরু কবে
এতে করে ব্যাট হাতে একাধিক বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন মিচেল স্টার্ক। সব ফরমেট মিলিয়ে আইসিসি আসরের নকআউট ম্যাচে ৯ নম্বরে বা এর নিচে ব্যাটিংয়ে নেমে ফিফটি করার নজির বিশ্বে এটাই প্রথম। এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোর্টনি ব্রাউনের রেকর্ড ভেঙে আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে ৯ নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন স্টার্ক।
এছাড়া আরও একটি বিশ্বরেকর্ডে নিজের নাম যুক্ত করেছেন মিচেল স্টার্ক। যেকোনো ফরমেটের আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে দশম উইকেটে জুটিতে সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ডও লেখা হয়েছে। হ্যাজেলউডকে সঙ্গে নিয়ে স্টার্ক যোগ করেছেন ৫৯ রান। এতে তারা ভেঙেছেন ১৯৭৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে ডেনিস লিলি ও জেফ থমসনের শেষ জুটির ৪১ রানের রেকর্ড।
উল্লেখ্য, এতে করে শেষ ইনিংসে ২৮২ রানের বড় লক্ষ্য পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম দুই দিনের উইকেট বিচারে এবং পেসাররা যেমন আগুন ঝরা বোরিং করেছেন তাতে এই টার্গেট ছিল পাহাড় সমান। তবে স্টার্ক যেন আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটারদেরও। তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ২১২। স্বপ্নের শিরোপা জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন আর মাত্র ৬৯ রান।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪জুন২৫/এফএএস
