
৩৮ বছর বয়সী ফুটবলার, দুই দশকেরও বেশি সময়ের ফুটবল ক্যারিয়ারে বহু শিরোপা, বহু গল্প, আর অসংখ্য আবেগঘন মুহূর্তের জন্ম দিয়েছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সিতে ম্যারাডোনার পর আরেক আবেগের নাম মেসি। কিন্তু এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারের সবচেয়ে অসস্থিকর মুহূর্ত নিঃসন্দেহে তার প্যারিসে (পিএসজি) কাটানো সময়।
মেসিকে আজকের মেসি বানানোর কারিগর বার্সা । তাই তো এই তারকা কোনোভাবেই ছাড়তে চাচ্ছিলেন না প্রিয় ক্লাব কে। এটাই যে তার কাছে পরিবার। কিন্তু ক্লাবের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে কাঁদতে কাঁদতে বিদায় বলেছিলেন। পরবর্তীতে যোগ দেন পিএসজিতে।
নতুন এক সম্পর্ক যেই সম্পর্কে হাজার চেষ্টা করে ও মেটানো যায়নি তিক্ততা। শুরুতে নেইমারকে পেয়ে অনেকটা স্বাচ্ছন্দ বোধ করলেও পরবর্তীতে পরিবেশ, থাকার ব্যবস্থা সবকিছু নিয়ে অনেক অস্বস্তিতে ছিলেন। এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন যে আমি মোটেই এই ক্লাবে খুশি নয়।
আরও পড়ুন:
» শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে টেস্ট ফরমেটেও নেতৃত্ব ছাড়লেন শান্ত
» শান্তর দায়িত্ব ছাড়ার পর টেস্ট দলের নেতৃত্বে আসছেন যিনি
অন্যদিকে ক্লাবও (পিএসজি) খুশি ছিল না। কাতার বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলার মোটেই ছন্দে ছিলেন না। গোলও পাচ্ছিলেন না তিনি। তার পারফরমেন্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, তার সাপোর্টাররা তাকে হেয় করতে শুরু করেছিল। প্রশ্ন উঠেছিল ক্লাবের জন্য খেলছেন নাকি শুধু শুধুই টাকার জন্য খেলছেন।
পরবর্তীতে তিনি আর চুক্তি নবায়ন করেননি। ক্লাবও আগ্রহ দেখায়নি। মেসি চলে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে আর পিএসজিও তরুণদের টেনে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা অর্জন করেন।
শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদ দুই পক্ষের জন্যই আশীর্বাদ হয়। সত্যি বলতে, এটি হয়তো ফুটবল ইতিহাসের এমন বিচ্চেদ যেটি দল এবং খেলোয়াড় দুজনের জন্যই আশীর্বাদস্বরূপ হয়েছে।
রবিবারের ক্লাব বিশ্বকাপ ম্যাচে মুখোমুখি হবে মেসির বতর্মান ক্লাব ইন্টার মায়ামি ও সাবেক ক্লাব পিএসজি। অনেকে একে সাবেক বনাম বর্তমান, আবার অনেকে বলছেন ‘বিদ্বেষ,’ ক্ষোভের ম্যাচ’। অনেকে অনেক কিছু বললেও বাস্তবে এটি যেন পুরনো আর বর্তমান সম্পর্কের এক পুনর্মিলন।
আর সে জন্যেই হয়ত ৩৮ তম জন্মদিনে পিএসজির এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে মেসিকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮জুন২৫/এআর/এজে
