
২০২৫-২৬ মৌসুমটি ছিল বার্সেলোনার ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রাফিনহার জন্য এক কথায় অবিস্মরণীয়। মৌসুমজুড়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে বিশ্বসেরা খেলোয়াড়দের কাতারে নিজের জায়গা নিশ্চিত করেছেন তিনি। অসাধারণ নৈপুণ্যের স্বীকৃতি হিসেবে জিতেছেন লা লিগার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
সাবেক লিডস ইউনাইটেড তারকা এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৭ ম্যাচে করেছেন ৩৪ গোল, সঙ্গে ২৫টি অ্যাসিস্ট। কিছুদিন আগেও যে রাফিনহাকে নিয়ে বার্সা সমর্থকদের মধ্যে সংশয় ছিল, এখন সেই তিনিই কাতালান ক্লাবের আক্রমণের অন্যতম প্রধান ভরসা।
বার্সেলোনার নতুন কোচ হ্যান্সি ফ্লিক যেন রাফিনহার খেলায় এনে দিয়েছেন নতুন মাত্রা। তার অধীনে খেলে রাফিনহা উন্মোচন করেছেন নিজের সেরা সংস্করণ। তবে সাফল্যের পাশাপাশি এসেছে কিছু অপ্রত্যাশিত বিতর্কও।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে- রাফিনহা ও তার কিছু সতীর্থ ডোপিংয়ে জড়িত। কারণ, খেলার সময় তাদের হাতে দেখা গিয়েছিল টেপ বাঁধা। এ নিয়ে সম্প্রতি স্প্যানিশ গণমাধ্যম স্পোর্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাফিনহা সরাসরি জবাব দিয়েছেন
তিনি বলেন, ডোপিং? (হাসি) যখন কারও করার কিছু থাকে না, তখন তারা মনোযোগ কাড়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে যেকোনো কিছু বলে। ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলে, অজুহাত তৈরি করে। কাউকে দোষারোপের আগে সত্যটা জানা উচিত। কিন্তু অনেকেই তা করে না।
এই গুজবকে তিনি গুরুত্ব দেননি। বরং এসব বিষয়কে ‘ঈর্ষাজনিত প্রতিক্রিয়া’ হিসেবেই দেখছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
প্রতিবার যখন কোনো খেলোয়াড় নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেন, তখনই কিছু সমর্থক কিংবা মহল তা খাটো করতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। রাফিনহার ক্ষেত্রেও হয়েছে তেমনটাই। তবে তিনি বরাবরই মাথা ঠান্ডা রেখে সমালোচনার জবাব দিয়েছেন মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে।
বার্সেলোনার জার্সিতে তিন মৌসুমে রাফিনহা দেখেছেন সাফল্য ও সমালোচনার দুই চরম রূপ। তবে প্রতিটি প্রতিকূলতাই তাকে আরও পরিণত করেছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২আগস্ট২৫/এসএ/এনজি
