মহান বিজয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশেষ বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্বাধীনতার আত্মত্যাগ ও বিজয়ের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে বিসিবি জানায়, “স্বাধীনতার বিজয় থেকে ক্রিকেটের লড়াই বাংলাদেশ কখনো পিছু হটে না। বিজয়ের লাল-সবুজ চেতনা আমাদের প্রেরণা।”
আজ গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে। সেই পোস্টে বিসিবি আরও বলে, বিজয়ের দিনে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করা বীরদের, আর গর্বের সাথে পরিধান করি লাল-সবুজ জার্সি।

পোস্টের মাধ্যমে দেশের মানুষকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছাও জানিয়েছে দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
আজ ১৬ ডিসেম্বর। ঐতিহাসিক মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত দেশ পেয়েছিল লাল-সবুজের এক রক্তাক্ত পতাকা। মূলত মুক্তিযুদ্ধ ছিল ভাষা আন্দোলনের অবধারিত পরিণতি। এর সূত্রপাত ঘটেছিল ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে তা চূড়ান্ত রূপ লাভ করে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে এই নিরস্ত্র, নিরীহ বাঙালির উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল তা ছিল ইতিহাসের পাতায় এক কালো অধ্যায়। যার ফলশ্রুতিতে নিজেদের অস্ত্বিত্ব রক্ষার্থে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। একাত্তরের দীর্ঘ ৯ মাস প্রশিক্ষিত শক্তিশালী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধ করেছিলেন দেশের সব ধর্ম, বর্ণ, ভাষার বীর সন্তানেরা। মুক্তির সেই সংগ্রামে ৩০ লাখ মানুষের প্রাণ, ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম আর বিপুল সম্পদহানির মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জিত হয়েছিল। বাংলার দামাল ছেলেরা চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিল। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে জাতিকে মুক্ত করেছিল।
তাই বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের সকল আপামর জনতা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও।
এছাড়াও বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৬ডিসেম্বর২৫/টিএ
