
নেদারল্যান্ডস সিরিজ ও এশিয়া কাপ সামনে রেখে গতকাল ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই দলে সবচেয়ে বড় চমক নুরুল হাসান সোহান ও সাইফ হাসানের ডাক পাওয়া। দীর্ঘদিন পর তাদেরকে জাতীয় দলে ডাকার ব্যাখ্যাও দিয়েছে বিসিবি।
সোহান টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন প্রায় তিন বছর পর। ২০২২ সালের নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জার্সিতে সবশেষ ম্যাচটি খেলেছিলেন তিনি। অন্যদিকে সাইফ ফিরলেন প্রায় চার বছর পর। ২০২১ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ ম্যাচটি খেলেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকার পর সবশেষ বিপিএলের পর থেকেই জাতীয় দলে ফেরার আলোচনায় ছিলেন সোহান-সাইফরা। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেট এবং ‘এ’ দলের হয়েও নিয়মিত পারফর্ম করে যাচ্ছিলেন এই দুই ব্যাটার। তবুও সুযোগ মেলেনি জাতীয় দলে। অবশেষে নেদারল্যান্ডস সিরিজ ও এশিয়া কাপ দিয়ে লম্বা বিরতির পর দলে ফিরলেন সোহান ও সাইফ।
আজ (শনিবার) মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। সেখানে সোহান ও সাইফকে দলে নেওয়া ব্যাখ্যা দিয়েছেন এই নির্বাচক।
সোহানকে দলে নেওয়া প্রসঙ্গে লিপু বলেন, ‘সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরের সময় টি-টোয়েন্টি দলে সোহানকে নিয়ে অনেক আলোচনা ছিল। আমরা তখন ভেবেছি দলের যে ফরমেশন, এতে তার প্রথম একাদশে খেলার সম্ভাবনা ছিল খুবই কম। তাই ওই সময় আমাদের মনে হয়েছে, সে যদি প্রস্তুতির জন্য গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে, সেটা আরো ভালো হবে। তাছাড়া সে ‘এ’ দলের হয়ে ডারউইনে খেলতে যাবে সেটাও জানতাম। তো তারও একটা প্রস্তুতি হয়ে যায়। এশিয়া কাপের মতো প্ল্যাটফর্মে আসার আগে ১০ ম্যাচের মতো খেলা হয়ে যায় তার। সেজন্য তখন আমরা বলেছিলাম সে আমাদের খুব কাছের নজরে আছে।’
‘আমরা হয়ত তাকে আন্তর্জাতিক লেভেলের এক্সপোজার দিতে পারিনি। তার সঙ্গে আরও অনেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সুযোগ পেয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের লাইক টু লাইক রিপ্লেসমেন্টের জায়গায় হিউজ চ্যালেঞ্জেস কিংবা পারফর্মার নাই। তাকে নিয়ে আমাদের আত্মবিশ্বাস এবং আস্থার যে জায়গাটা, তার অ্যাপ্রোচ, প্যাটার্ন..বিশেষ করে পাঁচ-ছয়ের জায়গায়, আমরা মনে করি সে খুব ভালো একটা অপশন। জাকের আলীর বিকল্প হিসেবে এই মুহূর্তে তাকেই সেরা মনে হয়েছে।’
সাইফকে দলে নেওয়ার প্রসঙ্গে লিপু বলেন, ‘সাইফের বিষয়ে আমরা কোচ, অধিনায়ক ও নির্বাচক মণ্ডলী মিলে অনেক আলোচনা করেছি। উপরের দিকে আমাদের একটা ক্রুশাল শর্ট বোলার দরকার ছিল। এক বা দুই ওভার করে সে একটা ভূমিকা রাখতে পারবে। তাছাড়া তিন-চার কিংবা ওপেনার দরকার হলে, সেখানে সে ফিট হবে। সে আলোকে সাইফের দিকে চোখ ছিল। এজন্যই তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
এদিকে ডারউইনে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এরপর সেখানে একটি চারদিকে ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। তবে সোহান-সাইফরা শিগগিরই সিলেটে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৩আগস্ট২৫/বিটি
