
চলতি মাসেই জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়কত্ব হারান নাজমুল হোসেন শান্ত। তাকে সরিয়ে মেহেদি হাসানের মিরাজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে দেয় বোর্ড। শান্তকে শুধু লাল বলের নেতৃত্ব রাখা হয়। তবে গুঞ্জন ছিল, শান্তকে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে সরানোর আগে তার সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি বিসিবি। আর সে অভিমান থেকে পদত্যাগ করতে পারেন তিনি।
শ্রীলঙ্কা সফরে প্রথম টেস্টের পর শান্তর টেস্ট অধিনায়কত্বের বিষয়টি আলোচনায় উঠেছিল। প্রশ্ন উঠেছিল তিনি টেস্টে অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাবেন কিনা। এক টেস্ট বাকি থাকায় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি শান্ত। তবে টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পরই দায়িত্ব ছাড়ার কথা জানিয়ে দিলেন এই তারকা ব্যাটার।
আজ শনিবার (২৮ জুন) কলম্বো টেস্ট শেষে নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন শান্ত। বাংলাদেশের হয়ে আর কোনো ফরম্যাটেই অধিনায়ক হিসেবে দেখা যাবে না তাকে। নেতৃত্ব ছাড়ার কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক তার পছন্দ নয়।
আরও পড়ুন:
» অভিষেকে সেঞ্চুরি করে আশরাফুলের রেকর্ডবুকে ১৯ বছরের ব্যাটার
» সিরিজের মাঝপথে শান্তর পদত্যাগ নিয়ে বিসিবি সভাপতির আক্ষেপ
তবে শান্ত আজই নেতৃত্ব ছাড়বেন, সেটা ভাবনায়ও ছিল না বিসিবির। নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয়ে বিসিবির সঙ্গে কিছুটা আলোচনা হয়েছিল তার। তবে আজই এমন সিদ্ধান্ত আসবে জানত না বোর্ডও।
এ বিষয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেন, ‘তিন ফরম্যাটে ৩ অধিনায়কের বিষয়ে তার নিজস্ব কিছু চিন্তা-ভাবনা আছে। কিন্তু টেস্টে অধিনায়কত্ব করার আগ্রহ ওর কম ছিল। আমার মনে হয় সে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের আলোচনা হয়েছিল, ও কিছুটা বলার চেষ্টা করেছে। আমার ধারণা ছিল ও দায়িত্ব ছাড়লেও আরও পরে ছাড়বে। তবে এ মুহূর্তে এমন সিদ্ধান্ত নেবে এটা আশা করিনি।’
শান্তর নেতৃত্বের প্রশংসা করে ফাহিম বলেন, ‘শান্তর নেতৃত্বগুণ আমি কাছ থেকেও দেখেছি। ও ভালো ক্যাপ্টেন্সি করেছে। সে ভালো একজন নেতা। তবে তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। আশা করব ও ব্যাটার হিসেবে ভালো খেলবে।’
শান্তর পর টেস্ট অধিনায়ক কে হবে তা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। তবে পরবর্তীয় টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও লিটন দাস। বর্তমানে মিরাজ ওয়ানডের দায়িত্বে আছেন এবং লিটন টি-টোয়েন্টির দায়িত্বে আছেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮জুন২৫/বিটি
