বার্সেলোনার সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো ছিল না। টানা এক ড্র আর এক হারের ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের ওপর বাড়তি চাপটা ছিল। কিন্তু সেই চাপ কাটিয়ে নিজেদের মাঠে ফ্রাঙ্কফুর্টকে হারিয়ে ফের জয়ে ফিরল হ্যান্সি ফ্লিকের দল। দলকে জয়ে ফেরানোর নায়ক জুলস কুন্দে। বিরতির পর তিন মিনিটের ব্যবধানে দুটো দারুণ হেডে গোল করে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন এই ফরাসি ডিফেন্ডার।
ক্যাম্প ন্যুতে এটা ছিল বার্সার প্রথম ম্যাচ। শুরু থেকেই বল দখল ও নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে ছিল তারা। ৭০ শতাংশেরও বেশি বল দখলে রেখেছিল তারা, গোলের সুযোগও তৈরি হয়েছিল অনেক। ম্যাচে একচ্ছত্র আধিপত্য থাকা সত্ত্বেও প্রথম গোলটা হজম করতে হলো হাই–লাইন ডিফেন্সের ভুলে। ২১ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে উঠা বল আন্সগার কেনাউফের শটেই এগিয়ে যায় ফ্রাঙ্কফুর্ট।
প্রথমার্ধে গোল করতে পারত বার্সা। কিন্তু লেভান্ডফস্কির অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়ে যায়। এছাড়াও মার্টিনের জোরালো শট সব মিলিয়ে প্রথমার্ধে হতাশাই সঙ্গী হয়েছিল বার্সার। বিরতির পর বদলে যায় দৃশ্যপট। মার্কাস রাশফোর্ড নেমেই খেলার গতিপথ বদলে দেন। একের পর এক থ্রু ও ক্রসে প্রতিপক্ষ বক্সে চাপ তৈরি হতে থাকে। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগায় বার্সা।
ম্যাচের ৫০ তম মিনিটে সমতা ফেরে তারা। রাশফোর্ডের নিখুঁত ক্রস থেকে কুন্দের প্রথম হেড গোল দিয়ে সমতায় ফিরে তারা। তিন মিনিট পর ইয়ামালের ক্রস থেকেও একইভাবে হেড দিয়ে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল নেন কুন্দে। দুই হেডে ম্যাচ উল্টে যায় পুরোপুরি।
এর পর আর স্কোরলাইন বদলায়নি। ফ্রাঙ্কফুর্ট যদিও নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছে ম্যাচে ফেরার।কিন্তু শেষদিকে বার্সা খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, ঝুঁকি কম নিয়েছে। গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় তারা বাড়তি কোনো চাপ নেয়নি। তবুও প্রয়োজনীয় তিন পয়েন্ট তুলে নিয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি ছিল বার্সেলোনার তৃতীয় জয়। ছয় ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে বার্সা এখন টেবিলের ১৪ নম্বরে। অন্যদিকে ফ্রাঙ্কফুর্টের এটি ছিল চতুর্থ হার, পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান ৩০ নম্বরে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১০ডিসেম্বর২৫/টিএ