টেবিলের শীর্ষ স্থানটা নিজেদের দখলে রাখাই ছিল কাতালানদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই ক্যাম্প নউয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদকে ৩–১ গোলে হারিয়ে লিগে নিজেদের দাপট আবারও প্রমাণ করল বার্সেলোনা। এর ফলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে বার্সা।
ম্যাচের শুরুটা যদিও তাদের জন্য বিপরীত দিকেই গিয়েছিল, কিন্তু বায়েনার সেই গোলের পর দলটা ধীরে ধীরে ছন্দ ফিরে পায়, আর বাকি সময়টা একপেশেই খেলা হয়েছে।
প্রথমার্ধে রাফিনিয়া দলকে ফিরিয়ে আনার পর দ্বিতীয়ার্ধে ওলমোর শট সাইডনেট ছুঁয়ে গোল পোস্টে ঢোকে। শেষে ফেররান তরেস গোল করে জয় নিশ্চিত করেন। এদিকে লেভানদোভস্কি পেনাল্টি মিস না করলে ব্যবধান আরও বড় হতে পারত। তবে সুযোগ পেয়েও কাজে না লাগানোর এই আফসোস রয়ে যাবে বার্সা শিবিরে।
খেলায় প্রায় ৬০ শতাংশ সময় বল পায়ে রেখে ১৯টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার ৬টি ছিল লক্ষ্যে। সিমেওনের দল এর বিপরীতে শুধু ৭টি শট নিতে পারে। ম্যাচের বড় অংশেই তারা চাপ সামলে টিকে থাকার চেষ্টা করেছে, আর ক্লিনিক্যাল ফিনিশিংয়ের অভাব তাদের গোলপোস্টের সামনে বারবার পরাস্ত হয়েছে।
প্রথমার্ধের ১৯তম মিনিটেই বিপদ ডেকে আনে বার্সা। মোলিনার দীর্ঘ পাস ধরে অফসাইড ট্র্যাপ ভেঙে এগিয়ে যান বায়েনা এবং ভিএআর চেকের পর গোলটি বৈধ হয়। আর চাপে থেকেও দলকে ম্যাচে ফেরান রাফিনিয়া। পেদ্রির নিখুঁত থ্রু বল ধরে গোলরক্ষককে কাটিয়ে ম্যাচে ফেরান ব্রাজিলিয়ান এই উইঙ্গার।
এরপর দারুণ একটি সুযোগ পেয়েও মিস করে বসে বার্সা। পেনাল্টি থেকে লেভানদোভস্কির শট উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। এরপর তার হেডও ঠেকিয়ে দেন ওবলাক। প্রথমার্ধে যে সংখ্যক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, তাতে লিড না পাওয়া ছিল বার্সেলোনার হতাশার জায়গা।
বিরতির পর অবশ্য গতি আরও বাড়ায় ফ্লিকের দল। ইয়ামাল, রাফিনিয়া, পেদ্রির দ্রুত পাসে তৈরি হয় আরও সুযোগ। অবশেষে ৬৫তম মিনিটে লেভানদোভস্কির ওয়ান–টু পাসে বল ফিরে পেয়ে গোল করেন দানি ওলমো। এর পরেই চোটে মাঠ ছাড়েন তিনি।
শেষ দিকে সমতায় ফেরার সুযোগ তৈরি করেছিল আতলেতিকো। আলমাদা এবং গ্রিজমান দুজনেই গোল পেতে পারতেন, কিন্তু শেষ মুহূর্তের ভুল সিদ্ধান্তে তা আর পেরে উঠেননি। যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে বাল্দের পাশ থেকে গোল করে জয়ের সিল মেরে দেন ফেররান তরেস।
এই ম্যাচ শেষে ১৫ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা। ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ, তাদের হাতে একটি অতিরিক্ত ম্যাচ আছে। এদিকে টানা ছয় ম্যাচে জয়ের পর হেরে আতলেতিকো নেমে গেছে চার নম্বরে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩ডিসেম্বর২৫/টিএ