
আধুনিক ক্রিকেটের বি ধ্বং সী ব্যাটিং যুগে এখনও পিছিয়ে বাংলাদেশ। একদিকে চলছে রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলা, অন্যদিকে বাংলাদেশ হাঁটছে উল্টো পথে। এশিয়া কাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ হংকং এবং সহজ লক্ষ্য পেয়েও বিধ্বংসী ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখাতে ব্যর্থ হন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। আবুধাবিতে হংকংয়ের দেওয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্য ১৭.৪ ওভারে তাড়া করে জেতে বাংলাদেশ। নেট রানরেটে এগিয়ে যাওয়ার বড় সুযোগ থাকলেও সেটি কাজে লাগাতে পারেনি ব্যাটাররা।
অধিনায়ক লিটন দাস ব্যতীত আর কেউই দেখাতে পারেননি টি-টোয়েন্টি ধাঁচের ব্যাটিং। লিটনের ৩৯ বলে ৫৯ রানের ইনিংসে ভর করেই জয় পায় বাংলাদেশ। তবে আলোচনায় থাকা ব্যাটার তাওহীদ হৃদয় পর্যাপ্ত সুযোগ পেয়েও আলো ছড়াতে ব্যর্থ হন। ব্যাট হাতে ৩৬ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলেন, যা আধুনিক ক্রিকেটের সাথে বেমানান।
রানরেট প্রসঙ্গে ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে হৃদয় বলেন,
“আমরা আগেও বলেছি, আমরা মাঠে নামি জয়ের জন্য। আমরা যদি আফগানিস্তান বা শ্রীলঙ্কা—যেকোনো এক দলকে হারাই, তাহলে তো রানরেটের কিছু যায়-আসে না। এত জটিলভাবে চিন্তা করলে চাপ তৈরি হয়। আমরা আমাদের প্রসেস মেনে খেলার চেষ্টা করব, বাকিটা আল্লাহ ভরসা।”
তিনি আরও বলেন, “এটা আমাদের টিম প্ল্যান। আপনারা যেমন রানরেটের কথা বললেন… আসলে ছোট দল বলতে কিছু নেই, সবাই শক্তিশালী। আমাদের লক্ষ্য ছিল তাদের দ্রুত অলআউট করে ম্যাচ জেতা। সেটাই ছিল পরিকল্পনা।”
হৃদয়ের মতে, “(বিগত) সিরিজে রানরেট তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি। শেষ হয়ে যাওয়া সিরিজ নিয়ে কথা বলতে চাই না। এটা শুধু ক্যাপ্টেন বা কোচের সিদ্ধান্ত না, সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত। দিনশেষে ম্যাচ জয়টাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মনোযোগও সেদিকেই ছিল।”
এশিয়া কাপের গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের অপর দুই প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। ‘সুপার ফোর’-এ ওঠার লড়াইয়ে আগামীকাল (১৩ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কা এবং ১৬ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
ক্রিফোস্পোর্টস/১২সেপ্টেম্বর২৫/এনজি
