এশিয়া কাপে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন এবারও অধরা রয়ে গেল বাংলাদেশের। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালের আশা জাগিয়েছিল টাইগাররা। তবে শেষ দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের কাছে হেরেছে সুপার ফোর থেকেই বিদায় নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সুপার ফোরের অলিখিত সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ১১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। তাতে ভারতের সঙ্গে ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলবে এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল।
এদিন দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ডাক মেরে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়ও। ১০ বলে মাত্র ৫ রান করে ফেরেন তিনি। তবে ভালো শুরু পেয়েছিলেন সাইফ হাসান। কিন্তু ইনিংস লম্বা করার আগেই বিদায় নিতে হয়েছে তাকে। দলীয় ২৯ রানের মাথায় ফেরেন এই ওপেনার। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১৫ বলে ১৮ রান করেন।
পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়েই থামেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের অষ্টম ওভারে দলীয় ৪৪ রানের মাথায় পতন ঘটে চতুর্থ উইকেটের। ১০ বলে ১১ রান ফেরেন তিনি। নুরুল হাসান সোহান আজ সুযোগ পেয়েও তেমন সুবিধা করতে পারেননি। ২১ বলে ১৬ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলে ফেরেন তিনি। তাছাড়া লিটনের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা জাকের আলী আজও ব্যর্থ হয়েছেন। ৯ বলে মাত্র ৫ রান করে ফেরেন তিনি।
শেষদিকে তানজিম সাকিবকে নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন শামীম হাসান। তবে ৯৭ রানের মাথায় পর পর দুটি ওভারে বিদায় নেন তারা। আর সেখানে থমকে যায় বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন। শামীম ২৫ বলে ৩০ এবং সাকিব ১১ বলে ১০ রান করেন।শেষদিকে রিশাদের ১১ বলে ১৬ রানের ক্যামিওতে ১২৪ রান তুলতে সক্ষম হয় টাইগাররা।
পাকিস্তানের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ। এছাড়া সাইম আইয়ুব ২টি এবং মোহাম্মদ নাওয়াজ একটি উইকেট শিকার করেন।
এর আগে পাকিস্তানের পক্ষে ব্যাটা হাতে সর্বোচ্চ ২৩ বলে ৩১ রান করেন মোহাম্মদ হ্যারিস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ বলে ২৫ রান আসে মোহাম্মদ নাওয়াজের ব্যাট থেকে। এছাড়া সালমান আগা ১৯, শাহীন আফ্রিদি ১৯, ফাহিম আশরাফ ১৪ এবং ফখর জামান ১৩ রান করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। রিশাদ ১৮ রান খরচায় শিকার করেন ২টি উইকেট। এছাড়া শেখ মেহেদি ২৮ রান ২টি এবং মুস্তাফিজ ৩৩ রান দিয়ে একটি উইকেট শিকার করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান : ১৩৫/৮ (২০ ওভার)
বাংলাদেশ : ১২৪/৯ (২০ ওভার)
ফলাফল : পাকিস্তান ১১ রানে জয়ী
ক্রিফোস্পোর্টস/২৬সেপ্টেম্বর২৫/বিটি