
বিশ্বের বড় বড় ক্লাবগুলো তারকা ফুটবলারদের জার্সি বিক্রি করেই বড় অঙ্কের অর্থ আয় করে থাকে। রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেষ্টার সিটি, লিভারপুল, বায়ার্ন মিউনিখের মতো জায়ান্ট ক্লাবগুলোতে অনেক বড় বড় তারকারা খেলে থাকেন। তাই এসব ক্লাবের জার্সির চাহিদাও বেশি থাকে।
সম্প্রতি মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) খেলা ক্লাবগুলোর ফুটবলারদের সর্বোচ্চ জার্সি বিক্রির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এমএলএসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই তথ্যে দেখা যায়, সর্বোচ্চ জার্সি বিক্রির তালিকায় শীর্ষে আছেন ইন্টার মায়ামির আর্জেন্টাই মহাতারকা লিওনেল মেসি। আর মেসির সঙ্গে এই তালিকায় আছেন এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার কাভান সুলিভানও। এমএলএস ক্লাব ফিলাডেলফিয়ায় খেলা শীর্ষ ২০ জনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন এই তরুণ।
২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে পিএসজি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন মেসি। এরপর থেকেই ক্লাবটির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। একইসঙ্গে মেজর লিগও জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। মেসি যোগ দেওয়ার পর তার বেশ কয়েকজন বার্সা সতীর্থ― সার্জিও বুসকেটস, লুইস সুয়ারেজ ও জর্দি আলভার মতো তারকা মায়ামিতে যোগ দেন। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশেও আরো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ক্লাবটি।
আরও পড়ুন:
» হাভিয়ের কাবরেরাকে এখনই বরখাস্ত করছে না বাফুফে!
» প্রথম ম্যাচে পারেননি, আজ জিতবে তো মেসিরা?
তবে যুক্তরাষ্ট্রে এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে মায়ামি। এর পেছনের সবচেয়ে বড় কারণ আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসি। তাই জার্সি বিক্রির তালিকায়ও তার নামই শীর্ষে। মেসির পরেই অবস্থান করছেন তার বন্ধু ও সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। এই সাবেক বার্সা তারকা যুক্তরাষ্ট্রে বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া শীর্ষ ২০ এর মধ্যে আছেন ইন্টার মায়ামির আরেক তারকা বুসকেটস। ১৬ নম্বরে অবস্থান করছেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাভান সুলিভান আছেন তালিকার ১৮ নম্বরে। ফিলাডেলফিয়ায় জন্মগ্রহণ করা এই ১৫ বছর বয়সী মিডফিল্ডার মায়ের সূত্রে জার্মানি ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ২০২৪ সাল থেকে ফিলডেফিয়া সিনিয়র দলের হয়ে খেলছেন তিনি এবং সেখানে বেশ জনপ্রিয় এই তরুণ।
উল্লেখ্য, ক্রীড়াসামগ্রীর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ফ্যানাটিকস জার্সি বিক্রির এই তালিকা প্রকাশ করেছে। ২০২৫ মৌসুমে ১ জানুয়ারি থেকে ১ মে পর্যন্ত এমএলএস স্টোর থেকে বিক্রি হওয়া জার্সি এই তালিকায় স্থান পেয়েছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৯জুন২৫/বিটি
