ফিটনেস ট্রেইনার হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন নাথান কেলি। তার ‘টাইম ট্রায়াল’ পদ্ধতিতে বেশি উপকৃত হয়েছে সাইফ-তামিমরা। তবে ছয় মাস বাকি রেখেই বিসিবির সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করলেন এই অস্ট্রেলিয়ান ট্রেইনার।
নাথান কেলির ট্রেইনিং পদ্ধতি দৃষ্টি কেড়েছিল সবার। বেশ উপকৃত হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ২০২৪ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে (বিসিবি) ট্রেইনার হিসেবে ২ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেন নাথান কেলি। কেলির অধীনে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা ছিল বেশ আলাদা ও কার্যকর। কিন্তু চুক্তির ২ বছর এই ট্রেইনারকে পেলেন না বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
পারিবারিক সমস্যার কারণে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন কেলি। প্রথমে মৌখিকভাবে বিসিবিকে সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন এই ট্রেইনার। এরপর সমস্যার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে মেইলে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান তিনি। কেলির অনুপস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ফিটনেস ট্রেইনারের দায়িত্ব পালন করছেন ইফতেখার ইফতি। ট্রেইনার পদে খুব দ্রুতই কোচ নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির এক কর্মকর্তা।
এশিয়া কাপ চলাকালে বিসিবি থেকে ছুটি নিয়েছিলেন এই ট্রেইনার। বাবা হওয়ার কারণে ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। সন্তান জন্মের সময় স্ত্রীকে সময় দিতে ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। এরপর আর জাতীয় দলে যোগ দেননি কেলি। পরিবারকে সময় দেওয়ার জন্যই চাকরি ছেড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৭অক্টোবর২৫/এনজি