
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা হারাতে যেভাবে ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ, ভারতের বিরুদ্ধেও একই ব্যাটিং দরকার। কেননা লঙ্কানরা টার্গেট দিয়েছিল ১৬৮, আর ভারত দিয়েছে ১৬৯। মানে এক রান বেশি। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করেছে শুভমান গিলের দল। জাকের আলীদের দরকার ১৬৯ রান।
দুবাইয়ে লিটন দাস বিহীন ম্যাচে শুরুতে কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। অভিষেক শর্মার ব্যাটিং তোপে সব ছারখার হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু পরে সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে মোটামুটি রানের লাগাম টেনে ধরেন মুস্তাফিজ-রিশাদরা।
এদিন প্রথম ১১ ওভারে ১১২ রান তুলেছিল ভারত। রানরেট ছিল ওভার প্রতি ১০.১০। উইকেট হারিয়েছিল মাত্র ২টি। কিন্তু ৯ ওভারে বাংলাদেশ বেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। ৪ উইকেট তুলে নিয়ে রান দিয়েছিল মাত্র ৫৬। এতেই ঝড়ো শুরুর পরও ১৭০ এর আগেই শেষ হয় ভারতের ইনিংস।
দুবাইতে টস জিতে বোলিং বেছে নিয়েছিলেন জাকের। নতুন বলে দারুণ শুরু করেছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। প্রথম ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়েছিলেন তিনি। পরের ওভারেই স্পিন আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদও ভালো বোলিং করেছেন। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেটের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন সাকিব। কিন্তু উইকেটের পেছনে ক্যাচ ফেলেছ দেন জাকের।
৭ রানে জীবন পেয়ে ওভারেই জ্বলে উঠেন অভিষেক। নাসুমকে দুই ছক্কা ও এক চার মেরে হাত খুলে খেলা শুরু করেন। পাওয়ার প্লের বাকি ওভারগুলোতে রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন। ৩ ওভারে ১৭ করা ভারত পাওয়ার প্লের পরের ৩ ওভারে তুলে ৫৫ রান। ৬ ওভার শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ভারত করে ৭২ রান।
সপ্তম ওভারে প্রথম আক্রমণে এসেই ব্রেকথ্রু এনে দেন রিশাদ। ফেরার আগে ১৯ বলে করেন ২৯ রান করেন শুভমান। নবম ওভারে আবারো উইকেট পেয়েছেন রিশাদ। তিনে নামা শুবম দুবে ২ রানের বেশি করতে পারেননি।
দারুণ ফর্মে থাকা অভিষেক শর্মা ২৫ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন। ফিফটির পরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন অভিষেক। শেষ পর্যন্ত রিশাদের দুর্দান্ত থ্রোতে স্টাম্প ভাঙেন মুস্তাফিজ। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৭ বলে ৭৫ রান করেছেন এই ওপেনার।
ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে জাকেরের ক্যাচ বানিয়েছেন মুস্তাফিজ। ১১ বল খেলে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। ৭ বলে ৫ রান করে সূর্যের পথে হেঁটেছেন তিলক ভার্মা। হার্দিক পান্ডিয়া এদিন এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেছেন। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৮ রান। অক্ষর প্যাটেল ১৫ বলে অপরাজিত ১০ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে ২৭ রানে ২ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। এ ছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজু, তানজিম সাকিব ও সাইফউদ্দিন।
বাংলাদেশ একাদশ: সাইফ হাসান, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন, জাকের আলী (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, নাসুম আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
ভারত একাদশ: অভিষেক শর্মা, শুভমান গিল, সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), তিলক ভার্মা, সাঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), শিভম ডুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, জসপ্রিত বুমরাহ ও বরুণ চক্রবর্তী।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৪সেপ্টেম্বর২৫/এজে
