
দুটি প্রীতি ম্যাচের প্রথমটিতে আজ মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-নেপাল। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। একাধিক চেষ্টা চালিয়েও শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য থেকেই বিরতিতে গেছে দুই দল।
এদিন শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখার চেষ্টা করে স্বাগতিক নেপাল। ম্যাচ শুরুর তৃতীয় মিনিটেই আক্রমণে যাওয়ার কার চেষ্টা করে তারা। তবে বক্সের ভেতরে নেপালের শট প্রতিহত করেন তারিক কাজী।
এরপর ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার চেষ্টা করে বাংলাদেশও। ম্যাচের দশম মিনিটে প্রথম কর্নার কিক পেয়ে যায় বাংলাদেশ। জামালের নেওয়া কর্নার থেকে তপু বর্মনের হেডের পর বল তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন নেপালের গোলরক্ষক। ফিরতি বলে দারুণ এক শট করেন হৃদয়। তবে শেষ মুহূর্তে সুমন রাজার পায়ে হালকা লেগে বল জড়ায় নেপালের জালে। কিন্তু সুমন রেজা অফসাইডে ছিলেন। যে কারণে বাতিল হয় গোলটি।
ম্যাচের ১৮তম মিনিটে পরপর দুটো আক্রমণ চালায় নেপাল। প্রথমবার ডিফেন্ডার তবু বর্মন প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এবং এবং দ্বিতীয়বার গোলরক্ষক সুজন হোসেন প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এরপর বাংলাদেশও কয়েকবার আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। এর মাঝে কিছু কর্নার কিকও পেয়েছিল জামালরা। তবে সেগুলো থেকে কোনো সাফল্য আসেনি।
ম্যাচের ৩০তম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে গোল করার দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল নেপাল। তবে এবারও বল আটকে দেন গোলরক্ষক সুজন এবং বক্সের ভিতর থেকে বল ক্লিয়ার করেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা।
ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে রহমতের লং থ্রো থেকে বক্সের ভেতরে বল পেয়ে যান সুমন রেজা। সে জায়গা থেকে গোলের দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তবে গোলপোস্টের উপর দিয়ে বল বাইরে পাঠান এই ফরোয়ার্ড। এরপর দুই দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে কোনো দলই বড় কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। যার ফলে গোলশূন্য ড্রতেই বিরতিতে যায় দুই দল।
ক্রিফোস্পোর্টস/৬সেপ্টেম্বর২৫/বিটি
