নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর্দা নামছে আজ। টুর্নামেন্টের ১৩তম আসরে ফাইনালে উঠেছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দুটো দলই প্রথম শিরোপা ছোঁয়ার অপেক্ষায়। তাই নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে নারীদের এই বিশ্ব আসরটি।
এবারের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশও। আসরে টাইগ্রেসদের শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে এরপর আর কোনো ম্যাচ জিততে পারেননি জ্যোতিরা। বেশকিছু ম্যাচে জয়ের খুব কাছে গিয়েও হেরে যায় টাইগ্রেসরা। তাতে ৭ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সপ্তম স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে লাল-সবুজের দল।
তবে সপ্তম স্থান অর্জন করেও প্রায় ৭ কোটি টাকা পাচ্ছে বাংলাদেশ। আসরে এক জয়, অংশগ্রহণ ফি ও টুর্নামেন্টের অবস্থান—সব মিলিয়ে এই মোটা অঙ্কের অর্থ পেতে যাচ্ছেন জ্যোতিরা।
বিশ্বকাপেফ গত আসরের চেয়ে এবারের আসরে প্রাইজমানি অনেক বাড়ানো হয়েছে। এবারের আসরে মোট প্রাইজমানি ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, যা নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০২২ আসরের চেয়ে প্রায় এক কোটি ডলারেরও বেশি। ওই আসরে প্রাইজমানি ছিল মাত্র ৩৫ লাখ ডলার। এবার প্রাইজমানি বাড়ায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোও মোটা অঙ্কের প্রাইজমানি পাচ্ছে।
এবারের নারী বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার বা প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। আর রানার্সআপ দল পাবে তার অর্ধেক, অর্থাৎ ২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার বা প্রায় ২৭ কোটি টাকা।
এদিকে সপ্তম স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করা বাংলাদেশ এই খাত থেকে পাচ্ছে ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। গ্রুপ পর্বে একটি ম্যাচে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই খাত থেকে পাচ্ছে ৩৪ হাজার ৩১৪ ডলার। এছাড়া অংশগ্রহণ ফি মিলিয়ে মোট ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩১৪ ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি ৯০ লাখ ২৭ হাজার টাকা।
ক্রিফোস্পোর্টস/২নভেম্বর২৫/বিটি