
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলাররা ইউরোপের ফুটবলে নিজেদের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি বাংলাদেশের ফুটবলের জন্যও উন্মোচন করছেন নতুন সম্ভাবনার দরজা। কেউ ইংল্যান্ডে, কেউ ফিনল্যান্ডে, কেউবা নেদারল্যান্ডসে- তাদের এই যাত্রা দেশীয় ফুটবলের জন্য বড় অনুপ্রেরণা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আলো ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলাররা।
হামজা চৌধুরী, ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া এই মিডফিল্ডার লেস্টার সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন এবং ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়ার পর ডিসেম্বর থেকে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলে। ইউরোপীয় অভিজ্ঞতা নিয়ে জাতীয় দলের শক্তি বাড়াচ্ছেন এই মিডফিল্ডার।
জার্মানিতে বেড়ে ওঠা রিয়াসাত ইসলাম খাতুন ২০১৮ সালে ওয়েলশ প্রিমিয়ার লিগে লানেলি টাউন এর হয়ে খেলেন। তিনি ইউরোপের শীর্ষ ডিভিশন ক্লাবে বাংলাদেশের প্রথম প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিতি পান।
এছাড়া ডেনমার্কে জন্ম ও বেড়ে ওঠা জামাল ভুঁইয়া বাংলাদেশের প্রথম ইউরোপে বেড়ে ওঠা জাতীয় দলের ফুটবলার। দীর্ঘ সময় ইউরোপের একাডেমি ও ক্লাবে খেলেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে অনুপ্রেরণার প্রতীক তিনি।
ফিনল্যান্ডের টাম্পেরে জন্ম নেওয়া তারিক কাজী খেলেছেন ইলভেস ক্লাবের হয়ে ইউরোপা লিগ কোয়ালিফাইং ম্যাচেও। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার।
২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে জন্ম নেওয়া কিউবা মিচেল খেলেছেন সান্ডারল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলে।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আনোয়ার উদ্দিন ছিলেন প্রথম ব্রিটিশ এশিয়ান ফুটবলার যিনি ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবলে খেলেছেন। ওয়েস্ট হ্যাম ইয়ুথ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইংলিশ লিগ ক্লাবে খেলেছেন এবং পরে কোচিংয়ে যুক্ত হয়েছেন।
এছাড়াও রয়েছেন ইতালিতে ওলবিয়া কালচিওর ফাহামেদুল ইসলাম এবং কানাডার ক্যাভালরি এফসির শমিত শোমে, যিনি বাংলাদেশের জাতীয় দলের জার্সিও গায়ে তুলেছেন।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের এই যাত্রা প্রমাণ করছে প্রতিভা কোনো সীমানায় বাঁধা নয়। তারা একদিকে ইউরোপের মাঠে নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য তৈরি করছে নতুন দিগন্ত।
ক্রিফোস্পোর্টস/২আগস্ট২৫/এসএ/এনজি
