
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত দুই পয়েন্ট করে পেয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। তবে দুই দলের যাত্রা একরকম নয়। শ্রীলঙ্কা তাদের দুই পয়েন্ট পেয়েছে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে। এবার তারা খেলবে গরম ও আর্দ্র মুম্বাইয়ে, যেখানে শুরু হবে তাদের শেষ পর্বের লড়াই। সেমিফাইনালে উঠার সুযোগ এখনো একদম শেষ হয়ে যায়নি।
বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। পাকিস্তানকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে দারুণ সূচনা করেছিল জ্যোতি-সালমারা। কিন্তু এরপর থেকে দল ছন্দ হারিয়েছে। বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভালো খেলেও শেষ পর্যন্ত জয় পাওয়া যায়নি। ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এখনো কোনো জয়ের রেকর্ড নেই বাংলাদেশের, তাই এই ম্যাচ তাদের জন্য নতুন সুযোগ।
বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় শক্তি স্পিন আক্রমণ। স্পিনাররা নিয়মিত ভালো করছেন এবং প্রতিপক্ষদের চাপে রাখছেন। কিন্তু ব্যাটিং এখনো দলের দুর্বল দিক। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেটা স্পষ্ট ছিল ১৯৯ রানের লক্ষ্য তারা কোনো উইকেট না হারিয়েই তুলে নেয়।
শ্রীলঙ্কার অবস্থাও প্রায় একই রকম। তাদের ব্যাটাররা ভালো শুরু করলেও মাঝপথে উইকেট হারিয়ে ফেলে। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ২৫৮ রান তুলে তারা দেখিয়েছে ব্যাটিংয়ে উন্নতি।
দুই দল এখন পর্যন্ত চারবার মুখোমুখি হয়েছে ওয়ানডেতে। শ্রীলঙ্কা জিতেছে দুইবার, আর বাকি দুই ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। তাই সোমবারের ম্যাচটি দুই দলের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। হেরে গেলে সেমিফাইনালের আশা শেষ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের জন্য এখন সেমিফাইনাল অনেকটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। শেষ দুই ম্যাচ জিততে হবে, সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচগুলোর ফলাফলের দিকে। দলের অভিজ্ঞ স্পিনার ফাহিমা খাতুন বলেছেন, “আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। সেমিফাইনাল না হলেও প্রথম পাঁচে শেষ করতে পারলে সেটাও আমাদের জন্য বড় অর্জন হবে।”
আজকের ম্যাচে মূল লড়াই হবে বাংলাদেশের স্পিনারদের বিপরীতে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং কেমন করে, আর জ্যোতি-সালমারা নিজেদের ব্যাটিং দিয়ে ইতিহাস বদলাতে পারেন কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ক্রিফোস্পোর্টস/২০অক্টোবর২৫/টিএ
