এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের শেষটা জয়ে রাঙালো বাংলাদেশ। টানা দুই হারের পর অবশেষে প্রথম জয়ের দেখা পেল লাল-সবুজের দল। আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ফাহামিদুল-মোরসালিনরা।
এদিন মাত্র ১২ মিনিটেই ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেয় বাংলাদেশ। ৭০-৮২ মিনিটের মধ্যেই চার গোল আদায় করে নেয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে ম্যাচের শেষদিকে গিয়ে একটি গোল হজম করলেও তা ফলাফলে কোনো প্রভাব ফেলেনি। বেশ ভালোভাবেই জিতে নেই সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা।
ভিয়েতনামের ভিয়েত ত্রি স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কেউই। বাংলাদেশের বিপক্ষে একাধিক আক্রমণ করেছে সিঙ্গাপুর। তবে মেহেদি হাসান শ্রাবণকে পরাস্ত করে বল জালে পাঠাতে পারেনি তারা। বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত সেভ দিয়েছেন তিনি।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে নেমেও কাঙ্ক্ষিত সেই গোলের লক্ষ্যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলো দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধে ফাহামিদুল-আল আমিনরা বদলি হিসেবে নামার পর পাল্টে যায় ম্যাচের চিত্র। শেষ পর্যন্ত ৭২তম মিনিটে গিয়ে ফাহামিদুল ইসলামের হাত ধরেই ভাঙে ম্যাচের অচলাঅবস্থা। দুর্দান্ত এক শটে সিঙ্গাপুরের জাল বিধ্বস্ত করেন এই ফরোয়ার্ড।
এর দুই পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় বাংলাদেশ। এবার গোল করেন বদলি হিসেবে নামা আল-আমিন। একটি লং বল থেকে দুর্দান্ত এক ফিনিশিং করে দলকে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে দেন এই তরুণ ফরোয়ার্ড। এর আট মিনিট পর দলকে তৃতীয় গোল এনে দেন মহসিন আহমেদ। তাতে ৮০ মিনিটে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
সিঙ্গাপুরের জালে শেষ পেরেক ঠোকেন অনূর্ধ্ব-২৩ দলের অধিনায়ক শেখ মোরসালিন। ম্যাচের ৮২তম মিনিটে বক্সের উপর দারুণ শটে দলকে চতুর্থ গোল এনে দেন এই মিডফিল্ডার। শেষদিকে যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে একটি গোল হজম করে বাংলাদেশ। তাতে ৪-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের দল।
অবশ্য বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি এই একটি জয়। প্রথম দুই ম্যাচে ভিয়েতনাম ও ইয়েমেনের কাছে হেরে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে মোরসালিনদের। অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপের মূল পর্বে কোয়ালিফাই করতে পারেনি তারা। ফলে এই একটি জয় নিয়েই দেশে ফিরতে হবে লাল-সবুজদের।
ক্রিফোস্পোর্টস/৯সেপ্টেম্বর২৫/বিটি