আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ফরম্যাট পরিবর্তন হতেই মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখলো টাইগাররা। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই আইরিশদের কাছে ধরাশায়ী লিটন দাসের দল। চট্টগ্রামে বড় হার দিয়ে সিরিজ শুরু করেছে লাল-সবুজের দল।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডের কাছে ৩৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ফলে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল সফরকারীরা। আইরিশদের সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় হার।
চট্টগ্রামের শহীদ ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানের বেশি তুলতে পারেনি স্বাগতিকরা।
চট্টগ্রামে হারের ব্যবধানটা আরও বেশি হতে পারতো। ম্যাথিউ হামফ্রেস-মার্ক অ্যাডায়ারদের বোলিং তোপে শুরুতেই এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। টপ অর্ডারের চার ব্যাটার ফিরেছেব দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই। আডায়ারের শিকার হয়ে লিটন দাস ৩ বলে ১ এবং পারভেজ হোসেন ইমন ৬ বলে ১ রান করে ফেরেন। তানজিদ হাসান তামিম হামফ্রেসকে উইকেট দেওয়ার আগে ৫ বলে ২ রান করেন।
দলীয় ৫ রানেই বাংলাদেশের ৩ উইকেট তুলে নেয় আয়ারল্যান্ড। এরপর ক্রিজে সেট হওয়ার চেষ্টা করেন সাইফ হাসান। তবে ব্যারি ম্যাককার্থির বলে বোল্ড হয়ে ১৩ বলে ৬ রান করে বিদায় নেন তিনি। এরপর জাকের আলী কিছুক্ষণ আশা জাগালেও তিনি বিদায় নেন ১৬ বলে ২০ রান করে। এরপর তানজিম সাকিব (৫), রিশাদ হোসেন (০), নাসুম আহমেদও (০) উইকেট দিয়ে ফেরেন। তাতে ৭৪ রানেই অষ্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

একের পর উইকেট দিয়ে ফেরেন ব্যাটাররা। ছবি- বিসিবি
অষ্টম উইকেট পতনের পর বড় হাতের শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। তবে তখনও মাঠে ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। এরপর একাই লড়ে যান তিনি। শরিফুলকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় শতরান এনে দেন। একইসঙ্গে তুলে নেয় ব্যক্তিগত ফিফটি। শরিফুল ১২ রান করে বিদায় নিলে শেষ উইকেটে আরও কিছু রান যোগ করে হারের ব্যবধান কমান হৃদয়।
শেষ পর্যন্ত ৮৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন হৃদয়। ৫০ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান এই ব্যাটার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটাই তার সেরা ইনিংস। আগে তিনি সর্বোচ্চ ৬৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
বাংলদেশের বিপক্ষে ১৩ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করলেন ম্যাথিউ হামফ্রেস। এছাড়া ব্যারি ম্যাককার্থি ৩টি এবং মার্ক অ্যাডায়ার ২টি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আয়ারল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন হ্যারি টেক্টর। ৪১ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান এই তারকা। এছাড়া ৩২ রান করেন টিম টেক্টর। বাংলাদেশের হয়ে ২টি উইকেট নেন তানজিম সাকিব। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন রিশাদ হোসেন ও শরিফুল ইসলাম।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৭নভেম্বর২৫/বিটি